
ডেস্ক: বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার শিকড় খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এমনটা দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বলেছেন, ‘দেশের চিন্তাশীল জনগোষ্ঠী এই অবস্থা থেকে দ্রুত উত্তরণে খুবই সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।’
শুক্রবার আসেম সম্মেলনের সাইড লাইনে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে’র সঙ্গে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বৈঠকে- সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের যুদ্ধে তার একাত্মতার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।’
বৈঠকে গুলশানের জঙ্গি হামলায় সাত জাপানী নাগরিক নিহত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গভীর শোকের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে এ সময় শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন। তিনিও গুলশানের হামলার হতাহতদের স্বজনদের প্রতি অকুন্ঠ সহানুভূতি জ্ঞাপন করেন।
আবে বলেন, ‘আসেম সম্মেলনের মাধ্যমেই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব নেতাদের কঠোর বার্তা ছড়িয়ে দেয়া হবে যে, আমরা কোন ধরনের সন্ত্রাসকে সহ্য করব না এবং আমরা সম্মিলিত কন্ঠেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা মনে করি, জাপান আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু এবং উন্নয়ন সহযোগী। সুতরাং জাপানের বিভিন্ন নাগরিকবৃন্দ যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছে তাদেরসহ জনগণকে নিরাপদে রাখা ও তাদের সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেছি।’
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক, মঙ্গোলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম, বেলজিয়াম এবং ইইউতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইসমত জাহান উপস্থিত ছিলেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসকে/জাই