
ঢাকা: গত বছর সানজিদা-মার্জিয়াদের সাথেই ময়মনসিংহ জেলা দলের হয়ে খেলেছিলেন সাজেদা। গত বছর ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশীপেও খেলেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৪ দলেও জাতীয় দলের জার্সী গাঁয়ে জড়িয়ে তাজিকিস্তান সফর করেছিলেন। সেখানে একটি গোলও ছিল তার। ছিলেন অনূর্ধ্ব-১৬ মহিলা দলের ক্যাম্পেও। কিন্তু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় ক্যাম্প ছাড়তে হয়েছিল সাজেদাকে। কিন্তু মনের ভেতরে জেদ চেপে রেখেছিলেন। নিজের সাথেই নিজের প্রতিশ্রুতি ছিল আবারো মাঠে ফিরে আসার। অসুস্থ্যতা থেকে সেরে উঠেই আবারো নিয়মিত হন ফুটবলে। নিজ পারফর্ম্যান্সে কোচ মকবুল হোসেনের মন জয় করে সুযোগ পান ময়মনসিংহ জেলা দলে।
দলে জায়গা করে নিয়েই অধিনায়কের মতো গুরু দায়িত্ব পেয়ে যান। দলের নেতৃত্ব পেয়ে নিজের দায়িত্বটা পালন করতে ভুল করেননি সাজেদা। জেএফএ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলে দলকে এনে দিয়েছেন শিরোপা। নেতৃত্বগুন দিয়েই নয়, দলের জয়ে তার অবদান ছিল সবচেয়ে বেশী। এবারের আসরে ১২ গোল করে পেয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। এখন তার লক্ষ্য জাতীয় দলে খেলা।
আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে রংপুর জেলা দলকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করে শিরোপা জয় করে বেজায় খুশী সাজেদা। নিজের পারফর্ম্যান্সের কারনে নয়, দল শিরোপা জেতায় বেশী আনন্দিত ময়মনসিংহের এ কিশোরী। বলেন, ‘এ নিয়ে আমি দ্বিতীয়বারের মতো খেললাম। দুই বারই আমাদের দল চ্যাম্পিয়ন। আমাদের স্কুলের স্যারেরা অনেক কষ্ট করে আমাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করছেন। আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেই কষ্ট কিছুটা হলেও স্বার্থক করতে পেরেছি।’
সাজেদা এখন স্বপ্ন দেখছেন জাতীয় দলের জার্সী গায়ে জড়ানোর। বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৪ দলের হয়ে তাজিকিস্তান সফর করেছিলাম। মাঝে অসুস্থ্য হওয়ায় সানজিদাদের সাথে আমার থাকা হয়নি। তাতে কি- আবারো ফিরে এসেছি। অনেক হার্ডওয়ার্ক করতে হয়েছে নিজের ফিটনেস ফিরে পেতে। আজ সেই কষ্টের ফলও পেলাম। এখন আমার লক্ষ্য জাতীয় দলে খেলা।’
দল শিরোপা জিততে না পারলেও সেরা উদীয়মান তারকা ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন রংপুর জেলা দলের রুনা। তিনিও স্বপ্ন দেখছেন লাল-সবুজ জার্সী গায়ে জড়ানোর, ‘আমার স্বপ্ন এখন জাতীয় দলে খেলা। সুযোগ পেলে অবশ্যই মাঠে নিজেকে প্রমান করবো।’
প্রতিবেদন: কবির, প্রকাশ: তুহিন