
নিজস্ব প্রতিনিধি,
ঢাকাঃ জাপানের ঋণে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ছোট ও মাঝারি ২১টি সেতু নির্মাণ ও পুনর্নিমাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার বনানীতে প্রকল্প কার্যালয়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) বাংলাদেশ প্রধান ইউহো হায়াকাওয়া ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। প্রকল্প পরিচালক আবদুস সবুর ও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় ঘোষাল চুক্তিতে সই করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে আরও জানানো হয়, বর্তমানে জাপানের অর্থায়নে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি জেলায় ছোট ও মাঝারি ৬১টি সেতু নির্মাণে ‘ওয়েস্টার্ণ বাংলাদেশ ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট’ চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে ইতিমধ্যে ২৫টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ৩৫টি সেতুর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি ঢাকা মেট্রোরেল, দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় মেঘনা-গোমতী সেতু নির্মাণে সহায়তার কথা উল্লেখ করেন। মন্ত্রী জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে জাপানের অর্থায়ন ইতিমধ্যে প্রকল্প নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে নিতে আক্রান্ত জনবলের চিকিৎসায় দু’টি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের নির্মিত ভায়াডাক্টের ওপর রেললাইন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে।’
বন্যাদুর্গত মানুষের সহায়তায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, বন্যার্তদের পুনর্বাসন ও কৃষিখাতের ক্ষতি পোষাতে নেওয়া পদক্ষেপের কথাও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। দুর্যোগকালে বিএনপির ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি মানুষের দুর্যোগ এবং কষ্টের সময় পাশে না দাঁড়িয়ে কথার ধারা বর্ষণ করে যাচ্ছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে সরকার গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। তবে বিরোধীদলের কেউ কেউ সামাজিক গণমাধ্যম এবং দেশ-বিদেশে যে অপপ্রচার চালাচ্ছে- তা যুক্তিসঙ্গত নয়। যা প্রকারান্তরে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সামিল।’
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কাজী শাহরিয়ার হোসেন, সড়ক পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমরা দেসহ ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।