
মনিরুল ইসলাম । নিউজনেক্সট বিডি ডট কম
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় মামলা হয় গত রাতে। আজ (১৯মে) শুক্রবার গাজীপুরে বিভিন্ন পথসভায় হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী আজমত উল্লা খান।
টঙ্গী বাজার বড় মসজিদে জুমার নামাজ শেষে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় তাকে (জাহাঙ্গীর আলম) সুনির্দিষ্ট কারণে সাসপেন্ড (বহিষ্কার) করেছে। এটার জন্যও তিনি আমাকে দোষারোপ করেছেন। আবার নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা বাতিল করেছে, সেখানেও তিনি একে-ওকে দোষারোপ করেছেন। সুতরাং তার বিষয়ে বলার কিছু নাই।’

আজমত উল্লা আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীর নাটকের মাস্টার। সব সময় এ ধরনের নাটক করে সে, এটাও নাটকের অংশ।’
হাস্যোজ্জ্বল আজমত উল্লা ২০১৩ সালে জাহাঙ্গীর আলমের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘দিজ অল আর ফেকস। আমি একজন ভদ্রমহিলা সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আপনারা সংবাদকর্মী শুধু বলব, আপনারা ঘটনাস্থলে যান।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে টঙ্গীর পূর্ব গোপালপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের জনসংযোগের সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর আজ দুপুরে নিজ বাড়িতে জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমে অভিযোগ করেন, হামলায় আজমত উল্লা এবং তাঁর লোকজন জড়িত।

জুমার নামাজ আদায় করেন টঙ্গীর মধুমিতা মেঘা সিটি, পূর্ব জামাই বাজার, ঝিনু মার্কেট, গোপালপুর, আরিচপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন আজমতউল্লা খান ।
গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তা পরে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। বিকল্প প্রস্তুতি ছিল জাহাঙ্গীরের, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মা জায়েদা খাতুনকে নিয়ে আসেন রাজনীতিতে। প্যাকেজিং ফ্যাক্টরির শ্রমজীবী এ নারী জীবন সায়াহ্নে মহুর্তেই চলে আসেন আলোচনায়। তারপর থেকে মাকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম।
আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৮ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন এবং নারী ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন। এ নির্বাচনে ৪৮০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, তিন হাজার ৪৯৭ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ছয় হাজার ৯৯৪ জন পোলিং অফিসারসহ ১০ হাজার ৯৭১ জন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা থাকবেন।