
ডেস্ক: জিকা প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নতুন ভাবে যৌন নির্দেশনা দিয়েছে। এর আগে চার সপ্তাহের জন্য যৌন সম্পর্কের সময় সতর্ক করেছেন কিন্তু এখন নতুন ভাবে আট সপ্তাহ পর্যন্ত অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা ও গর্ভধারণের চেষ্টা না করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানান, জিকা ভাইরাসের সম্ভবনা রয়েছে এমন কোনো দেশ ভ্রমণ করে আসা ব্যক্তিদের পুরোপুরি আট সপ্তাহ পর্যন্ত অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা ও গর্ভধারণের চেষ্টা না করার পরামর্শ দিয়েছে। এবং এডিস মশার মাধ্যমে জিকা ছড়িয়ে থাকে। জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা আক্রান্ত নয় এমন সব ব্যক্তিকেই এ নিয়ম মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জিকার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- জ্বর, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, ফুসকুড়ি হওয়া, সন্ধিস্থলে এবং মাংসপেশিতে ব্যথা। আর সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে আট সপ্তাহ অপেক্ষা করার কথা বলা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব মানুষের মধ্যে জিকা সংক্রমণের লক্ষণগুলো দেখা যাবে তারা যেন ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত যৌন সম্পর্ক স্থাপন না করে কিংবা নিরাপদ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে।
ডব্লিউএইচও এবং সিডিসি এ দুটি প্রতিষ্ঠানেরই দাবি, শিশুর জন্মগত ত্রুটি বা অস্বাভাবিক আকৃতির মাথা নিয়ে শিশুর জন্ম বেড়ে যাওয়ার জন্য জিকা ভাইরাস দায়ী।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, যৌন মিলনের মাধ্যমেও জিকা ছড়ানোর প্রমাণ দিন দিন বাড়ছে। ১৯ মে নাগাদ বিশ্বের ১০টি দেশ যৌন মিলনের মাধ্যমে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে- আর্জেন্টিনা, চিলি, পেরু, পর্তুগাল, নিউ জিল্যান্ড, কানাডা ও জার্মানি।
এসব ক্ষেত্রে জিকা আক্রান্ত পুরুষের কাছ থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। তবে যৌন মিলনের মাধ্যমে নারীদের কাছ থেকে জিকা ভাইরাস ছড়ায় কিনা তা জানাতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গত বছর ব্রাজিলে মাইক্রোসেফালি বা অস্বাভাবিক আকৃতির মাথা নিয়ে শত শত শিশুর জন্ম হয়। মশাবাহিত ভাইরাস জিকাকে এ ধরণের শিশু জন্মানোর কারণ বলে সে সময়ই সন্দেহ করা হচ্ছে। সূত্র: সিএনএন
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমএইচ/জাই