
ডেস্ক: দুপুরে খাওয়ার পরেই কি ঘুম আসে চোখে? ব্যাপারটা এমনকি, যে বাড়িতে থাকলে দুপুরে ভাতঘুম ছাড়া ভাবতেই পারেন না। আর অফিসে লাঞ্চের পর কাজে মন দেওয়া তো প্রায় দুঃস্বপ্নের মতো। আধঘণ্টা দু’চোখের পাতা এক করলেই আবার ঝরঝরে। দিবানিদ্রার এই বদভ্যাসের জন্য সারা জীবন কথা শুনতে হয়েছে আপনাকে? তবে এ বার আপনি সগর্বে জানিয়ে দিন, দিবানিদ্রা মোটেও বদভ্যাস নয়। বরং এই অভ্যাস খুবই স্বাস্থ্যকর।
নাসার একটি গবেষণা বলছে ৪০মিনিটের দিবানিদ্রা যে কোনও কাজে আমাদের ১০০ শতাংশ সতর্কতা এনে দিতে পারে। প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ২০মিনিট দিবানিদ্রার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনি অফিসে বসে কাজ করুন, রাস্তায় বেরোন, গাড়ি চালান বা অন্য যা কিছুই করুন না কেন, যে কোন কাজেই মনসংযোগ ও সতর্কতার প্রয়োজন।
তাই বাড়িতে থাকলে তো বটেই, অফিসেও লাঞ্চের পর সুযোগ পেলে দিতে পারেন ছোট্র করে একটা ভাতঘুম। তাহলে জেনে নিন দিনের বেলা ঘুমানোর উপকারিতা।
মুড: ঘুমনোর সময় মস্তিষ্কে সিরোটনিন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। আমাদের খুশি রাখার জন্য এই নিউরোট্রান্সমিটরের ভূমিকা রয়েছে। দিবানিদ্রা তাই আমাদের মুড ভাল রাখতে সাহায্য করে। আর মন ভাল থাকলে কাজের মানও বাড়ে। স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
কাজ: সকাল থেকে অফিসেই কাজ করুন বা বাড়িতে বসে কাজ করুন, দুপুরের দিকে শরীরে আলস্য আসে। যা কাজ করার ক্ষমতা ও কাজের মান কিছুটা কমিয়ে দেয়। এই সময় কিছুক্ষণ ঘুম দিলে আবার কাজ করার উদ্যম যেমন বাড়ে, কাজের মানও বাড়ে।
সৃজনশীলতা: জানেন কি লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি সারা দিনে মাঝে মাঝেই ঘুমিয়ে পড়তেন? আর সারা রাত জেগে চলত তাঁর শিল্পকর্ম। দিবানিদ্রা যে সৃজনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে তা নিশ্চয়ই আর আলাদা করে বলে দিতে হবে না?
স্মৃতিশক্তি: বিশ্রাম নিলে আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়ে। সারা দিনে এমন অনেক কাজ আমাদের করতে হয় যার জন্য স্মৃতিশক্তি ভাল হওয়ার প্রয়োজন।
সুস্বাস্থ্য: গবেষণায় দেখা গিয়েছে ঘুম কম হলে আমাদের শরীরে কর্টিসোল হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। এই হরমোনর ফলে স্ট্রেস বাড়ে। দিবানিদ্রা আমাদের শরীরে সক্রিয় কর্টিসলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। যা স্ট্রেস কমিয়ে সুস্থ রাখে আমাদের। সূত্র- এবিপি।
প্রতিবেদন ও সম্পাদনা: শিপন আলী