
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা সমূলে বিনাশ করতে আমাদের সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’ ২৬ জুনের আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবস উপলক্ষে শনিবার দেয়া এক বানীতে রাষ্ট্রপ্রধান এ কথা বলেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, সাম্প্রতিককালে বিএনপি-জামায়াত জোটই সংখ্যালঘুসহ নিরীহ মানুষদের টার্গেট করে হত্যা করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামাত জোট দেশব্যাপী মানুষের উপর বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর যে ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়ন করেছিল তা দেশের জনগণ ভোলেনি। তখন তারা ষড়যন্ত্রের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশব্যাপী ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা, আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা, ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর বোমা হামলা এবং দেশব্যাপী ৫শ’ স্থানে সিরিজ বোমা হামলা তারই উদাহরণ। এ সময় জোট সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সন্ত্রাসীরা দেশজুড়ে ভীতির সঞ্চার করেছিল। বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছরের শাসনামলে ১৮ জন সাংবাদিক সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারান। অসংখ্য সাংবাদিক পঙ্গুত্ববরণ করে। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে তারা অগণিত মানুষকে নির্যাতন করেছে। জোটের পাঁচ বছর এবং পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছরের শাসনামলে অসংখ্য রাজনীতিবিদ, প্রগতিশীল শিক্ষক, ছাত্র, ব্যবসায়ী তাদের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট একই কায়দায় ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে দেশব্যাপী নৈরাজ্য চালায়। দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর তারা অমানুষিক নির্যাতন করে। পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেয়। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে টানা ৯৩ দিন বিএনপি হরতাল অবরোধের নামে দেশের নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষকে আবার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। অসংখ্য যানবাহন আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে। পুনরায় একই অপশক্তি সাম্প্রতিককালে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুসহ নিরীহ মানুষদের টার্গেট করে হত্যা করছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক নির্যাতন বিরোধী দিবসের প্রাক্কালে আমি সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধে বিশ্ববাসীকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই।’
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসকে