
ময়ূখ ইসলাম, ঢাকা: ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে রাজধানী থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীদের জন্য অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন কাউন্টারগুলোতে সেপ্টেম্বরের ৫ থেকে ১১ তারিখের টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। যেখানে ৮ তারিখে টিকিটের ওপর বেশি চাপ বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
গাবতলী, শ্যামলী ও কল্যাণপুরের বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট কিনতে মানুষের ভিড় ছিলো। কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, আট ও নয় তারিখের টিকিটের চাপ বেশি। টিকিট প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এরই মধ্যে আট সেপ্টেম্বর রাতের বাসের সব টিকিট বিক্র হয়ে গেছে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১২ অথবা ১৩ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এজন্য ৬ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও ১১ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে শুরু হবে ঈদের সরকারি ছুটি। ৯ ও ১০ তারিখ (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি। তাই আট তারিখের ঈদের টিকিটের ওপর বাড়তি চাপ রয়েছে।
রানিবন্দরের টিকিট প্রত্যাশী মখলেছুর রহমান বলেন, ‘সোমবার ভোরে লাইনে দাঁড়াই। যদিও ৬৫০ টাকার টিকিট ৮০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছু করার নেই, বাসা তো যেতে হবে।’
তৌফিকুর রহমান নামে এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জানান, দুপুরের দিকে তিনি কয়েকটি কাউন্টারে ৮ তারিখের টিকিট খুঁজেও পাননি। বাধ্য হয়ে ৭ তারিখের টিকিট কিনেছেন।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত খায়রুল ইসলাম জানান, আট বা নয় তারিখের টিকিটের জন্য ঘুরোঘুরি করছেন তিনি কিন্তু পাচ্ছেন না। ‘মনে হয় অতিরিক্ত টাকা গুনতে হবে টিকিট পেতে’ বলেন তিনি।
এদিকে উত্তরবঙ্গের বড় পরিবহন কোম্পানী গুলো ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু করলেও ছোট কোম্পানির বেশিরভাগ পরিবহন এখনো তা শুরু করেনি। আর দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি পরিবহন সীমিত আকারে শুরু করছে টিকেট বিক্রি।
যদিও যাত্রীরা অভিযোগ করছেন, ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে তবে বিভিন্ন কাউন্টারে টিকিট বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে কেউ বলেছেন, তারা সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নিচ্ছেন। আবার অনেকেই বলেছেন, ঈদের সময় কর্মচারীদের বোনাসের জন্য অল্প কিছু টাকা বেশি নেয়া হয়।
এবার বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু নিয়ে মালিক সমিতির মধ্যে কিছুটা মতবিরোধ ছিল। মালিকদের একাংশ চেয়েছিলেন ২৬ আগস্ট থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করতে। আরেক অংশ এর বিরোধিতা করে। পরে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ২৩ আগস্ট থেকে টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়।
সম্পাদনা: সজিব ঘোষ