
ঢাকা: প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের প্রকাশক আহমেদুর রশীদ টুটুল হত্যাচেষ্টায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য শিহাব সরাসরি জড়িত ছিল। সে নিজে টুটুলকে চাপাতি দিয়ে তিনটি কোপ দেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার রাতে এবিটি সদস্য মোঃ সুমন হোসেন পাটোয়ারী ওরফে ওরফে শিহাব ওরফে সাকিব ওরফে সাইফুলকে (২০) বিমান বন্দর থানা এলাকার ওভার ব্রিজের পাশের বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগের একটি দল।
পুলিশের পক্ষে গত ১৯ মে এক নোটিশে শিহাবকে ধরিয়ে দিতে দুই লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত শিহাব জিজ্ঞাসাবাদে প্রকাশক টুটুল হত্যাচেষ্টায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে নিজে ভিকটিমকে চাপাতি দিয়ে তিনবার আঘাত করে বলে জানিয়েছে। শিহাব মোহাম্মদপুরে নবোদয় হাউজিং এ (এবিটি) এর বোমা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিল বলেও জানিয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, টুটুল হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচজন অংশ নেয়। এবিটি সদস্য শরীফ পুরো ঘটনার সমন্বয়ক ছিলেন। তাদের ধারণা ছিল গত বছরের ৩১ অক্টোবর শুদ্ধস্বর কার্যালয়ে শুধু টুটুলই ছিলেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তারা লেখক ও ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিমকে দেখতে পায়।
মনিরুল জানান, ওইদিন আনসারুল্লাহর দুইটি দল দুই স্থানে হামলা চালায়। জাগৃতির প্রকাশক দ্বীপনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার সমন্বয়ক ছিলেন সেলিম। আর শরীফের নেতৃত্বে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। শরীফকে ধরা গেলে আরো ওপরের জঙ্গিদের ধরা যাবে।
প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ অক্টোবর শনিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই সময় লালমাটিয়া সি-ব্লকের ৮১৩ নম্বর বাসায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে হামলা চালান দুর্বৃত্তরা। হামলায় শুদ্ধস্বরের স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক ও ব্লগার রণদীপম বসু ও তারেক রহিম গুরুতর আহত হন। ফয়সল আরেফিন দীপন ও আহমেদুর রশিদ টুটুল দুজনই মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও লেখক অভিজিৎ রায়ের বইয়ের প্রকাশক।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/জাই