
ডেস্ক: মুসলিম প্রধান সাত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা স্থগিতাদেশ বহাল রাখার পক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে আদেশ দিয়েছে ফেডারেল আপিল আদালত। এর ফলে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ কার্যকর করার পথ বন্ধ হলো।
এর আগে এক নির্বাহী আদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সিয়াটলের একজন বিচারক সে আদেশ স্থগিত করেন। পরে সে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আপিল আদালতে গেলে সেখানেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকলো।
আপিল আদালতের তিন বিচারকের প্যানেল সর্বসম্মতভাবে ওই স্থগিতাদেশই বহাল রাখলেন।
বিচারকরা তাদের রায়ে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকদের জাতীয় নিরাপত্তা ও তাদের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নীতি নির্ধারণী ক্ষমতা নিয়ে অত্যন্ত আগ্রহ রছে, একই সাথে যুক্তরাষ্ট্রে কার সফর অবাধ থাকবে সেটাও এ দেশের নাগরিকরা জানতে চায়। যাতে পরিবারগুলো বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়, আর তারা কোনো বৈষম্যের শিকার না হন এটাও নাগরিকদেরই প্রত্যাশা।
এদিকে এখনো হাল ছাড়েননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আদালতে শেষ লড়াই পর্যন্ত দেখে নেবেন এমন হুমকিই দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় আদালতের সিদ্ধান্ত জানার পরপরই এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘তোমাদের সঙ্গে আদালতেই দেখা হবে… দেশের নিরাপত্তা এখন দারুণ ঝুকিতে।’
গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্পের দেয়া নির্বাহী আদেশে ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদানের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর ৯০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এ দেশগুলোর ভিসা পাওয়া লোকজনও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। অনেকে শেষ মুহূর্তে বিমানবন্দরে এসে আটক হন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণের কর্মসূচি ১২০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। যুদ্ধকবলিত সিরিয়ার শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে ওই সাত দেশে দেয়া প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস বিভাগ বলেছে, ওই ভিসাগুলো এখন আবার ইস্যু করা হবে আর সে ভিসা পাওয়া ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণও করতে পারবেন।
সম্পাদনা: জাবেদ চৌধুরী