
আইওয়া: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকান দলের প্রার্থী বিতর্কিত ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনী নিয়ে কথা বলে সহিংসতা উস্কে দিয়েছেন।
আইওয়া অঙ্গরাজ্যের ডেস-মনিস এলাকায় এক সমাবেশে হিলারি বলেন, ট্রাম্পের ব্যবহৃত শব্দগুলোর মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হতে পারে। ট্রাম্প বলেছিলেন, অস্ত্র রাখার অধিকারের সমর্থকরা হিলারিকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়া থেকে থামিয়ে দিতে পারে।
দ্বিতীয় সংশোধনী পক্ষের লোকেরা বা অস্ত্রের মালিকেরা হিলারির বিপক্ষে অ্যাকশন নিতে পারেন- এমন বক্তব্য দিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হিলারি আরো বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার মতো মেজাজ ট্রাম্পের নেই।
একই সাথে ইরাকে নিহত মুসলিম সেনার পরিবারকে নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেছেন হিলারি। ওই মুসলিম সেনা হুমায়ুন খানের পরিবারকে সামরিক বাহিনী গোল্ডস্টার পরিবার হিসেবে উল্লেখ করে থাকে।
হিলারি বলেন, ‘গতকালকে আমরা দেখেছি যে ট্রাম্প তার সস্তা সর্বশেষ মন্তব্যে কিভাবে সীমা অতিক্রম করে গেছেন। একটি গোল্ডস্টার পরিবারের প্রতি তার সাধারণ বিদ্বেষ ও আরো বেশি দেশের পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিত- এমন মন্তব্য। এখন আমরা দেখছি ট্রাম্পের সাধারণ সহিংসতা উস্কে দেয়ার বিষয়টি।’
এসব ঘটনার প্রতিটি দেখে বোঝা যায় যে, প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রধান কমান্ডার হওয়ার মতো স্বাভাবিক মেজাজ ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেই।
মঙ্গলবার ট্রাম্প বলেছিলেন হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে সুপ্রিমকোর্টে উদারপন্থি বিচারকদের নিয়োগ দেবেন। এতে করে উদারপন্থি বিচারকেরা মানুষের অস্ত্র রাখার অধিকারকে হুমকির মুখে ফেলতে পারেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘হিলারির প্রাথমিক চাওয়া হচ্ছে দ্বিতীয় সংশোধনীকে বাতিল করা। যদি তিনি বিচারক নিয়োগের সুযোগ পান তবে সেটা করতে পারেন। তখন আপনাদের করার কিছুই থাকবে না। দ্বিতীয় সংশোধনী থাকবে কি না আমি জানি না’- নর্থ ক্যারিলোনায় সমাবেশে মঙ্গলবার এসব কথা বলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পরপরই সহিংসতা উস্কে দেয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তার সমালোচনা শুরু হয়। পরে অবশ্য টুইটারে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি অস্ত্র অধিকারের পক্ষের লোকদেরকে হিলারির বিরুদ্ধে ভোট দিতে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এমনটি বলেছেন। সূত্র: বিবিসি।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসআই