
ঠাকুরগাঁও: উত্তরের সীমান্তবর্তী ছোট্ট জেলা ঠাকুরগাঁও। প্রতিটি ঋতুতে যার রয়েছে অন্য রকমের রূপ-সৌন্দর্য। আর ঋতুরাজ বসন্তে সেই রূপে সাজতে শুরু করে জেলাটি। এ সময়ে ফুলের সৌরভ, কোকিলের মুহুর্মুহু কলতান, প্রকৃতির সাজসজ্জা বসন্তের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
শনিবার রাত ৩টা থেকে ফোটা ফোটা বৃষ্টি আরম্ভ হয়। সময় যত গড়াতে থাকে বৃষ্টি ও শীত উভয়ের তীব্রতা তত বাড়তে থাকে। কখনও বা থেমে থেমেও বৃষ্টি পড়তে থাকে। বেলা ১০টার পর বৃষ্টি কিছুটা থামলেও আকাশে মেঘের লুকোচুরি ছিল চোখ ধাঁধানো। দুপুর ১টার পর আবার শুরু হয় বৃষ্টি। ক্রমে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়তে শুরু করলে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করে শীতের তীব্রতাও।
কখনও বা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো জনপদ। সেই ভোরবেলা যারা জীবন-জীবিকার টানে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে তাদের অনেকেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। সকাল ৮টায় মেহনতি মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠা ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড়টি প্রায় জনশূন্য হয়ে যায়। আবহাওয়া বদলাতে শুরু করলে ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে চিরচেনা বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড়ের রূপ।
বাসা থেকে পায়ে ৫ মিনিট হাঁটা দিয়ে বাসস্ট্যান্ড ট্রাফিক মোড়ে এলাকায় এলাম। পাশেই যাত্রীর অপেক্ষায় হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা রিকশাচালক আলতাফুরের রিকশায় উঠলাম। সে জানায়, বৃষ্টির জন্য ঘুম বেশি হয়েছে। দেরিতে বের হওয়ার কারণে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রিকশা নিয়ে বের হয়েছি।
পূর্ব গোয়ালপাড়ার অতিপরিচিত মালাইয়ের সাথে দেখা। সে জানায়, আমি সচরাচর সকাল ৮ টায় রিকশা নিয়ে বের হই। কিন্তু ৭টায় ঘুম থেকে উঠার পর থেকে হালকা বৃষ্টি দেখে পুনরায় লেপ মুড়ে শুয়ে পড়ি। বেলা ১০টায় বৃষ্টি ও কুয়াশা নামতে শুরু করলে বের হই বাসা থেকে।
আলতাফুরের রিকশায় চেপে পৌঁছালাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, রাত্রিবেলা তাপমাত্রা ২০-২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওঠানামা করলেও সকাল ৮টা ১০ মিনিটে তা নেমে দাঁড়ায় ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসে।
প্রতিবেদক: এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, সম্পাদনা: ইয়াসিন