
পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত এক রোগীকে দেখতে চিকিৎসকের আসতে দেরী হওয়ায় রোগীটির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্বজনদের অভিযোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সময়মতো আসেননি। দেরীতে আসায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসকের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে ক্ষুব্ধরা স্বজনরা।
সোমবার রাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রোগীর স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়।
রোগীর স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের পাশের গ্রাম ইসলামবাগ এলাকার আব্দুস সাত্তার (৫৮) হৃদগোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। রোগীর অবস্থা বিবেচনা করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে ওই হাসপাতালের একমাত্র হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোশারফ হোসেনকে ফোন করা হয়। এসময় তিনি হাসপাতালের পাশেই একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ছিলেন। ফোন পেয়ে তিনি নিজে না গিয়ে রোগীকে ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। তিনি প্রায় আধাঘন্টা পরে জাহাঙ্গীর আলম ঝুনু নামে স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির বিশেষ অনুরোধে হাসপাতালে আসেন। ততক্ষণে রোগী মারা যান। এ ঘটনায় রোগীর বিক্ষুব্ধ স্বজনরা হাসপাতালের নার্সের ডিউটি রুমের একটি জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে।
মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে আনোয়ার হোসেন রিপন জানায়, হাসপাতালের পাশেই নর্দান ক্লিনিকে গিয়ে ডাক্তারকে আসার জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি না গিয়ে রোগীর অবস্থা তো খুব খারাপ জানিয়ে ক্লিনিকে নিয়ে আসার কথা বলেন। একটু আগে এলে হয়তো আমার বাবাকে বাঁচানো যেত।
অভিযুক্ত চিকিৎসক মোশারফ হোসেন ওই বেসরকারি ক্লিনিকে রোগীকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, পরে জাহাঙ্গীর আলম ঝুনু নামে এক জনের কথায় হাসপাতালে যাই। কিন্তু আমি গিয়ে দেখি রোগী মারা গেছেন।
সিভিল সার্জন পীতাম্বর রায় বলেন, নিয়মানুযায়ী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে জরুরি ফোন করা হলে হাসপাতালে আসার কথা। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মোশারফ হোসেন পাশের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ছিলেন। রোগীর অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে ফোন করা হয়েছিল এবং তিনি এসে রোগীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মো. লুৎফর রহমান (পঞ্চগড়), সম্পাদনা: জাহিদ