
ঢাকা: বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টেলিভিশনের এক ‘টকশো’তে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সম্পর্কে ভুল তথ্য উপস্থাপনের জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) রাতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানায় জিডিটি করেন সেনা সদরের মেজর এম রকিবুল আলম।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৯ অক্টোবর রাতে সময় টিভির সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান সম্পর্কে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, বিদ্বেষপ্রসূত ও ষড়যন্ত্রমূলক। তিনি কেন, কী উদ্দেশ্যে এবং কাদের প্ররোচনায় এ বক্তব্য দিয়েছেন- তা তদন্তের জন্য জিডিতে দাবি জানানো হয়।
সময় টিভির টকশোতে ‘সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ কোর্ট মার্শালও হয়েছেন’সহ নানা ধরনের অসত্য বক্তব্য তুলে ধরেন ডা. জাফরুল্লাহ। এর দুইদিন পর সংবাদ সম্মেলন করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সেনাপ্রধানকে নিয়ে টেলিভিশনের টকশোতে বিরূপ মন্তব্যের জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। জেনারেল আজিজ আহমেদ কখনও চট্টগ্রামের জিওসি বা কমান্ডেন্ট ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে কখনও কোর্ট মার্শালও হয়নি। অসাবধানতাবশত এসব তথ্য বক্তব্যে এসেছে।
চ্যানেলে দেওয়া জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ ও ‘অসত্য’ বলে আখ্যায়িত করে শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে বক্তব্য দেওয়া হয়। আইএসপিআর বলেছে, ডা. জাফরুল্লাহর দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য বক্তব্য কেবল সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে জেনারেল আজিজ আহমেদের সুনাম ও সামাজিক অবস্থানকে ক্ষুণ্ণ করেনি, বরং তা সেনাবাহিনীর প্রধানের পদকে চরমভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে।
আইএসপিআরের বক্তব্যে বলা হয়, ডা. জাফরুল্লাহর দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য বক্তব্য কেবল সেনাবাহিনীপ্রধান হিসেবে জেনারেল আজিজ আহমেদের সুনাম ও সামাজিক অবস্থানকে ক্ষুন্ন করেনি, বরং তা সেনাবাহিনীপ্রধানের পদকে চরমভাবে হেয়প্রতিপন্ন করেছে, যা প্রকারান্তরে সেনাবাহিনীর চাকরিরত সব সদস্যকে বিভ্রান্ত করেছে এবং তাঁদের মনোবলের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এ ছাড়া এরূপ অপপ্রচার সেনাবাহিনীর মতো সুশৃঙ্খল বাহিনীর সংহতি ও একতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এম কে রায়হান