
ঢাকা: সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জারি করা নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডির করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে সোমবার। এ বিষয়ে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ঠিক করেন। আদালতে ডেসটিনির পক্ষে ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নাজিবুর রহমান।
এর আগে ২৬ জুলাই রিট আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির এক পর্যায়ে দুদক আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ২০১২ সালে ডেসটিনির এমডিকে গ্রেফতার করেছেন। নোটিশ দিয়েছেন চলতি বছর। ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে। একজন কারাবন্দি ব্যক্তির পক্ষে কি এই সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেওয়া সম্ভব?
জবাবে খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদক আইনেই এই সময়ের কথা বলা হয়েছে। পরে আদালত বলেন, অ্যান্টি করাপশন অ্যাক্ট-১৯৫৭ যখন বহাল ছিলো তখনও সম্পদের হিসাব দেওয়ার জন্য ৪৫ দিন সময় দেওয়া হত। জবাবে খুরশীদ আলম খান বলেন, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের মামলায় রিভিউর রায়ে আপিল বিভাগ বলে দিয়েছেন কারাগারে থাকলেও সম্পদের নোটিশ দেওয়া যাবে।
জানা যায়, চলতি বছর ১৫ জুন দুদক ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিশ দেয়। এরপর তারা হিসাব দাখিলের জন্য ১৫ দিন সময় চেয়ে আবেদন করে।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে দুদক ৭ দিন সময় দেয়। কিন্তু গত ১৪ জুলাই এই সময় পেরিয়ে গেলেও তারা সম্পদের হিসাব দেননি। পরে ডেসটিনির ওই দুই কর্মকর্তা নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এমএস/ওয়াইএ