
ঢাকা: ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইনের সম্পদের হিসাব সংক্রান্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের দেয়া নোটিশের কার্যক্রম মঙ্গলবার স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ফলে আপাতত সম্পদের হিসাব দিতে হচ্ছে না ডেসটিনির এমডি ও চেয়ারম্যানকে।
একই সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালার ১৭(২)(৪) ধারা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও এমডির করা রিটের শুনানি শেষে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে ডেসটিনির পক্ষে ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নাজিবুর রহমান।
দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান জানিয়েছেন, এই আদেশের ফলে তাদেরকে আপাতত সম্পদের হিসাব দিতে হচ্ছে না। তবে এই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করবে।
এর আগে গত ২৬ জুলাই রিট আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির এক পর্যায়ে দুদক আইনজীবীর উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, ২০১২ সালে ডেসটিনির এমডিকে গ্রেফতার করেছেন। নোটিশ দিয়েছেন চলতি বছর। ৭ দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে। একজন কারাবন্দি ব্যক্তির পক্ষে কি এই সময়ের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেওয়া সম্ভব?
জানা যায়, চলতি বছর ১৫ জুন দুদক ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে সম্পদের হিসাব দাখিলের নোটিশ দেয়। এরপর তারা হিসাব দাখিলের জন্য ১৫ দিন সময় চেয়ে আবেদন করে।
ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে দুদক ৭ দিন সময় দেয়। কিন্তু গত ১৪ জুলাই এই সময় পেরিয়ে গেলেও তারা সম্পদের হিসাব দেননি। কিন্তু পরে ডেসটিনির ওই দুই কর্মকর্তা নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।
সম্প্রতি রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন দুটি অর্থপাচার মামলায় হাইকোর্ট শর্তসাপেক্ষে তাদের জামিন মঞ্জুর করে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এমএস/এসআই