
চট্টগ্রাম: ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নাম্বারে উঠে এসেছে খুলনা টাইটান্স। আজ চট্টগ্রাম জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুপুর একটায় শুরু হওয়া এ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল ৯ রানের জয় পায়। অন্যদিকে, পয়েন্ট হারালেও টেবিলের শীর্ষ স্থান অক্ষুন্নই আছে ঢাকার।
আজ টস জিতে আগে ব্যাট করে খুলনা টাইটান্স। অধিনায়ক মাহমুদউল্লার ৬২ রানের উপর ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে টাইটান্স। ঢাকার হয়ে ডুয়াইন ব্রাভো নিয়েছেন দুই উইকেট।
আজ ইনিংসের শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি খুলনা টাইটান্সের। শুরুতেই রানআউটের কবলে পড়েন ওপেনার হাসানুজ্জামান। আর দলীয় ২৩ রানের আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারও বিদায় নেন। তবে তৃতীয় উইকেটে শুভাগতকে নিয়ে ৪৪ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নিজের নামের পাশে ২৪ রান জমা করে শুভাগত হোম বিদায় নেন ব্রাভোর বলে। এরপর নিকোলাস পুরান ও তাইবুর রহমানকে নিয়ে আরও মাঝারি মানের দুটি জুটি গড়ে খুলনার রানকে দেড়শ’ পার করে দেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি যখন আউট হন, তখন খুলনার রান ১৫৩। ৪৪ বলে খেলা তার ৬২ রানের ইনিংসটি ছিল ৪টি করে চার এবং ছক্কায় সাজানো। ২১ রানে অপরাজিত থাকেন তাইবুর রহমান। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান করে খুলনা।
১৫৮ রানের টার্গেটে মাঠে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ঢাকা। দলীয় ১৪ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার কুমার সাঙ্গাকারা ও মেহেদি মারুফের উইকেট হারিয়ে দারুন চাপে পড়ে যায় সাকিববাহিনী। এরপর নিয়মিত বিরতীতে উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় সাকিববাহিনী। দলীয় স্কোর বোর্ডে আর মাত্র ১৬ রান জমা করতে গিয়ে টপ অর্ডারের আরো দুই ব্যাটসম্যান নাসির হোসেন (৭) ও ম্যাট কোলস (১১) সাজঘরের পথ ধরলে ব্যাকফুটে চলে যায় ঢাকা। তবে পঞ্চম উইকেট জুঁটিতে সাকিব-মোসাদ্দেকের ব্যাটে স্বপ্ন দেখতে থাকেন সমর্থকরা।
কিন্তু ঢাকার সেই স্বপ্নও মিলিয়ে যায় মোশারফ হোসেনের করা প্রথম ওভারেই। ইনিংসের ১০তম ওভারে বল করতে এসেই সাকিবকে(৮) বোল্ড করেন তিনি। দলীয় ৬৮ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় ঢাকা। বিদায়ের আগে সাকিব ৩৮ রানের জুটি গড়েন মোসাদ্দেকের সঙ্গে। সাকিব আল হাসান খুব ধৈর্য্যশীলতার পরিচয় দিয়ে ব্যাট করছিলেন। এরপর আবারো শুরু হয় উইকেট পতন।
স্কোর বোর্ডে ১৫ রান যোগ করতেই ডুয়াইন ব্রাভো (৪) ও মোসাদ্দেক হোসেনের (৩৫) হারায় ঢাকা ডায়নামাইটস। মোসাদ্দেক ২৮ বলে দুই বাউন্ডারি ও সমান ওভার বাউন্ডারি দিয়ে নিজের ইনিংস সাজিয়েছিলেন। ৮৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ঢাকা যখন হারের মুখে, তখন দলকে সানজামুল ও প্রসন্ন। তাদের সাবধানী ও কৌশলী ব্যাটিংয়ে বেশ ভালোই জবাব দিচ্ছিল ঢাকা। জয়ের স্বপ্ন আবারো দেখতে শুরু করে দলটি। এ জুঁটির উপর ভর করে জয়ের খুব কাছাকাছি চলে আসে ঢাকা। জয় থেকে তখন মাত্র ১৯ রান দূরে দাঁড়িয়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। বল বাকী ছিল ১৪টি। টি-টোয়েন্টিতে এ রানটা খুব একটা কঠিন কিছু নয়। কিন্তু হঠাৎ করেই আবারো অধ:পতন। এবার মোশারফ হোসেন আঘাত হানেন ঢাকার শিবিরে। তার শিকার সানজামুল। পরের ওভারে সোহরাওয়ার্দী শুভ রান আউটের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলে জয়ের পথটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে সাকিববাহিনীর সামনে।
আর ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলেই কেভন কুপারের বলে আরিফুলের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন ৫৩ রান করা প্রসন্ন। ১৪৮ রানেই যবনিকা ঘটে ঢাকার ইনিংসের। খুলনার হয়ে কেভন কুপার ও মোশরাফ হোসেন তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
প্রতিবেদন: কবির