
ঢাকা: অবশেষে প্রথমবারের মতো আগামী ২৯ আগস্ট ঢাকায় আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করাই হবে কেরির এই সফরের লক্ষ্য। এছাড়াও সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সকল ইস্যু ও সন্ত্রাসবাদ প্রাধান্য পাবে। এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের অংশিদারিত্ব আরো দৃঢ় হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
গত পহেলা জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার জানাবেন এই সফরে। হামলার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন জন কেরি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও সহিংস-চরমপন্থা দমনে যে কোনো ধরনের সহায়তার প্রস্তাব দেন তিনি।
জানা গেছে, ২৯ আগস্ট সকালে একটি বিশেষ বিমানে ঢাকা পৌঁছাবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সন্ধ্যায় তিনি দিল্লীর উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বাংলাদেশ সফর করলেও প্রথমারের মতো ঢাকা আসছেন কেরি। ৩০ আগস্ট ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ভারত-মার্কিন কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সংলাপে অংশ নেবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জন কেরির সফর উপলক্ষে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন আগামী ২৭ আগস্ট ওয়াশিংটন থেকে ঢাকায় পৌঁছাবেন। ঢাকা ও ওয়াশিংটনের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন জন কেরি। সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। এছাড়া নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত জন কেরির সফর উপলক্ষ্যে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়নি। আগামী সোমবার ঢাকা ও ওয়াশিংটন থেকে সফরসূচি ঘোষণা করা হবে বলে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়।
প্রতিবেদন ও সম্পাদনা: ইয়াসিন