
ঢাকা: তনু-মিতু-আফসানাসহ নারী শিশু হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস (ইয়াসমিন হত্যা দিবস) উপলক্ষে ঘরে বাইরে সর্বত্র নারীর ওপর শারীরিক-মানসিক নিযাতন বন্ধ এবং তনু-মিতু-আফসানাসহ সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধন করে সংগঠনটি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৫ সালের ২৪ আগস্ট ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে পুলিশ কর্তৃক ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয় ইয়াসমিন। এর বিরুদ্ধে সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং তখন থেকেই ২৪ আগস্ট নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। রাজনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক আন্দোলনের মুখে ইয়াসমিন হত্যার বিচার কার্যকর হয়।
বক্তারা বলেন, নিরাপত্তা বেষ্টিত এলাকা থেকে তনুর লাশ পাওয়া যায়। পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিরা গ্রেফতার হলো না। নিপীড়ক যত ক্ষমতাধর এবং টাকাওয়ালা হয় বিচার প্রাপ্তি ততই কঠিন হয়ে যায়। ধারাবাহিকভাবে চলছে নারী নির্যাতনের ঘটনা এবং বিচারহীনতার কাহিনী।
বক্তারা আরও বলেন, ব্র্যাকের এক প্রতিবেদনে উঠে আসে এক বছরে নারী নিযাতন বেড়েছে ৭৪ ভাগ, গণধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে ১৪ ভাগ। পুলিশের ওয়েবসাইট অনুযায়ী ২০১০ সালে নারী শিশু নির্যাতনের মামলা ছিল ১৭ হাজার ৭৫। ২০১৫ সালে মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় ২১ হাজার ২২০। ক্ষতিগ্রস্তদের অনেকেই নির্যাতনের পর পুনরায় মানহানির ও হয়রানির ভয়ে আর এগোতে চায় না। বিচার প্রাপ্তির সংখ্যা মাত্র ১ শতাংশ।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধের আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষকে অংশগ্রণের আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে কল্পনা চাকমা, সোহাগী জাহান তনু, মিতু, আফসানাসহ নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার প্রত্যেকটি ঘটনায় নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার করতে হবে।
মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম ঢাকা নগর শাখার সভাপতি শম্পা বসুর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশিদ ফিরোজ, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশো, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য সামসুন্নাহার জ্যোৎস্না প্রমুখ।
প্রতিবেদন: ইয়াছিন রানা, সম্পাদনা: মাহতাব শফি