
মানিকগঞ্জ: জেলার শিবালয় উপজেলার বওড়া গ্রামের ১৫ বছর বয়সী এক তরুণীকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে প্রতিবেশী চাচা ও ফুফা।
অপহরণকারীরা ধর্ষণের পর কাউকে না বলার জন্য ওই তরুণীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ঢাকার একটি বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ দেয় তারা। অপহরণের ২১ দিন পর শুক্রবার দুপুরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবিদা আক্তার জানান, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে দীর্ঘ দিন না খাওয়ার কারণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিছুটা মানসিক যন্ত্রণাতেও ভুগছে মেয়েটি।
ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, গত ২৭ মে দুপুরে প্রতিবেশী আসর উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন (৩৫) ও নজর আলীর ছেলে আবুল হাসেম (৫০) আরো ৪/৫ জনের সহযোগিতায় অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে তাকে। ধর্ষক নাসির ও আবুল হাসেম ওই তরুণীর সম্পর্কে প্রতিবেশী চাচা ও ফুফা লাগে।
এ ঘটনায় তরুণীর বাবা লম্পট নাসির উদ্দিন, আবুল হাসেম ও আমজাদ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।
উক্ত ঘটনায় পুলিশ নাসির উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ উক্ত হাজী নুরুল ইসলামের বাসা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেছে।
শিবালয় থানার ওসি তদন্ত আলমগীর হোসেন জানান, মেয়েটি অসুস্থ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। একটু সুস্থ্য হলেই তার সাথে কথা বলে তদন্ত করা হবে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমএইচ/জাই