
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
ঢাকাঃ মহামারি করোনা ভাইরাসে আগে তুলনামূলক বয়স্ক মানুষরা বেশি আক্রান্ত হলেও সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, এখন শিশু ও তরুণ বয়সীরাই সংক্রমণের শিকার হচ্ছে বেশি।
শুধু তাই নয়, করোনায় আক্রান্ত হয়েও উপসর্গহীন বা সামান্য উপসর্গ নিয়ে এসব বয়সী মানুষ অসাবধনাবশত অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দিচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস।
মঙ্গলবার এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর আলজাজিরার।

ডব্লিউএইচও গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের করোনা আক্রান্ত ৬০ লাখ মানুষের তথ্য নিয়ে গবেষণা চালায়। পর্যবেক্ষণ করে সংস্থাটির কর্মকর্তারা দেখতে পান, সম্প্রতি শিশু ও তরুণ বয়সীরা করোনাভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।
এতে দেখা যায়, শূন্য থেকে চার বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা ০.৩ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২.২ শতাংশে। ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের আক্রান্তের হার ০.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪.৬ শতাংশে। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা ৪.৫ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ শতাংশ।
ডব্লিউএইচওর ওয়েস্টার্ন প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক তাকেশি কাসাই হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, অপেক্ষাকৃত কম বয়সী অর্থাৎ তরুণ-যুবাদের মাধ্যমে এখন মহামারি করোনাভাইরাস বেশি ছড়াচ্ছে। ২০, ৩০ ও ৪০-এর কোঠায় থাকা মানুষ, যারা উপসর্গহীন হওয়ায় বুঝতে পারছেন না- করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, অসাবধানতাবশত এদের মাধ্যমেই বেশি করোনা ছড়াচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এসব বয়সীরা করোনা আক্রান্ত হলেও নিজেদের অজ্ঞাতেই অন্যকে সংক্রমিত করে দিচ্ছেন। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন বয়স্ক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে অসুস্থ লোকজন এবং শহর ও গ্রামাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষ।
প্রসঙ্গত, মহামারি করোনা ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বে ২ কোটি ২০ লাখ আক্রান্ত এবং ৭ লাখ ৭৮ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।