
ঢাকা: গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার মাস্টার মাইন্ড তামিম আহমেদ চৌধুরী ও সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক ঢাকায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা, তারা ঢাকাতেই আছেন। তাদের ধরতে আমরা চেষ্টা করছি। এছাড়া অন্য সবার কাছে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। তাদের ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কারের ঘোষণাও হয়েছে।’
জিয়া ও তামিম ইতোমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন, এমন গুজব সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘না, তারা গ্রেফতার হননি। তাদের দু’জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়ায় হামলার মাস্টার মাইন্ড সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিতে ইতিমধ্যেই ২০ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ।
শুধু তাই নয় সম্প্রতি জিয়া ও তামিমের সম্ভাব্য নতুন চেহারার পাঁচটি ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ। গ্রেফতার এড়াতে জিয়া-তামিম নিজেদের চেহারা পাল্টে ফেললেও তাদের সম্ভাব্য চেহারা কেমন হতে পারে সে বিষয়ে জনসাধারণকে ধারণা দিতেই ছবিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে।
মেজর জিয়াউল হকের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নে। মেজর জিয়া এক সময় বারিধারা ডিওএইচএস এলাকার ৯ নম্বর সড়কের ৫১২ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন। তার বাবার নাম সৈয়দ জিল্লুর হক। তিনি সত্তরের দশকে চাকরি নিয়ে সৌদি আরবে যান। তার বাবা দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সৌদি আরবে অবস্থান করেন। জিয়া দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। তার পাসপোর্ট নম্বর— এক্স-০৬১৪৯২৩।
আর তামিম আহমেদ চৌধুরীর বাবার নাম শফিক আহমেদ চৌধুরী এবং মা খালেদা শফি চৌধুরী। তার স্থায়ী ঠিকানা সিলেটের বিয়ানি বাজার থানার দোবাক ইউনিয়নের বড়গ্রাম সাদিমাপুর। তামিমের বর্তমান পাসপোর্ট নম্বর এএফ-২৮৩৭০৭৬ ও পুরান পাসপোর্ট নম্বর এল-০৬৩৩৪৭৮। তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর- ১৯৮৬০০৯১২৪১০০১৩৪২। ১৯৮৬ সালের ২৫ জুলাই তার জন্ম। তামিম সর্বশেষ ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর দুবাই থেকে ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/এসজি