
ঢাকা: অর্থ পাচারের অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হাইকোর্টে আপিলের রায় হবে আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই)।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে আজকের কার্যতালিকায় মোট ৬টি মামলা আদেশ ও রায়ের জন্য রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে তারেক রহমানকে দেওয়া খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের আপিল ও নিম্ন আদালতে দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের করা আপিলের রায়টি কার্যতালিকার ৪ নম্বরে রয়েছে। এই বেঞ্চের কার্যক্রম শুরু হবে সকাল সাড়ে ১০টায়।
এর আগে গত ১৬ জুন এ আপিল শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ। এই মামলায় দুদকের পক্ষে আপিল শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তবে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
এই মামলায় ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। একইসঙ্গে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অর্থপাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত।
নিম্ন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমপর্ণের আদেশ দেন হাইকোর্ট। তার লন্ডনের ঠিাকায় সমন পাঠানোর পরও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি। তাই তারেককে পলাতক রেখেই চলতি বছর ৪ মে আদালত এই মামলার আপিল শুনানি শুরু করে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।
অভিযোগে রয়েছে, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এই টাকা লেনদেন হয়।
এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএ’তে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/ওয়াইএ