
ঢাকা: আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী শনিবার। ২০১১ সালের (১৩ আগস্ট) এই দিনে চলচ্চিত্র ‘কাগজের ফুল’র শুটিং লোকেশন দেখে ঢাকায় ফেরার পথে মানিকগঞ্জের জোকা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন।
এই দুই গুণীকে স্মরণে নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আয়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে : স্মরণসভা, দোয়া মাহফিল, ও মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
এছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে তারেক মাসুদ নির্মিত চলচ্চিত্র ‘রানওয়ে’র প্রদর্শনী। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরসহ নিহত চলচ্চিত্রকর্মীদের স্মরণে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্বলন করা হবে।
একজন নির্মাতা হিসেবে তারেক মাসুদের কথা সবারই জানা। এ দেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বদরবারে পরিচিত করিয়েছেন নির্মাতা তারেক মাসুদ। তার পরিচালিত আদম সুরত, মুক্তির গান, মাটির ময়না, রানওয়ে, অন্তর্যাত্রা ছবিগুলো সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
এমনকি কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে বিশেষ সমালোচক পুরস্কারও জয় করেছেন। এককথায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন এ নির্মাতা।
তারেক মাসুদের ‘মুক্তির গান’, ‘মুক্তির কথা’ কিংবা ‘মাটির ময়না’ স্বাধীনতা যুদ্ধের এক প্রামাণ্য দলিল। আশির দশকের গোড়ার দিকে খ্যাতনামা শিল্পী এসএম সুলতানের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ‘আদম সুরত’ দিয়েই তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের শুরুটা হয়েছিল।
এরপর তারেকের অধিকাংশ ছবিতে ক্যামেরার জাদু দেখিয়েছেন মিশুক মুনীর। সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে মিশুক মনীর নিজেকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। অনেক প্রতিষ্ঠিত সংবাদকর্মীর আদর্শ ছিলেন মিশুক মুনীর।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসপিকে/এসআই