
ডেস্ক: রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
রাজশাহীতে মেয়র পদে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৬০ জন ও ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আরও ৫২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশালে মেয়র পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯৩ জন ও ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আরও ৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আর সিলেটে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১২৬ জন ও নয়টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আরও ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৩ জুন তিন সিটির তফসিল ঘোষণা করা হয়। ১০ জুলাই প্রচার শুরু করেন প্রার্থীরা। কালো টাকা, সন্ত্রাস, আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তাপ ছিল ভোটের মাঠ। গতকাল রোববারও ছিল পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
গত তিন সপ্তাহ ভোটের প্রচারে একচেটিয়া এগিয়ে থাকা আওয়ামী লীগের স্লোগান ছিল ‘উন্নয়ন’। বিএনপি ভোটের মাঠে খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিকে ইস্যু করে। দলটির প্রার্থীরা উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। টানা তাপদাহে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ছাড়াও অন্য দলের প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয়ে দিনরাত প্রচার চালান।
নির্বাচন উপলক্ষে সিটি এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে। নির্বাচনের নিরাপত্তায় শনিবার (২৮ জুলাই) থেকেই সিটির প্রতিটি ওয়ার্ডে র্যাবের একটি টিম এবং প্রতি দুই ওয়ার্ডে এক প্লাটুন করে বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, বিজিবি রিজার্ভ রাখা হয়েছে। এ হিসাবে তিন সিটিতে র্যাবের ৮৭ টিম ও ১১ প্লাটুন রিজার্ভসহ ৫৫ প্লাটুন বিজিবি নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাচনের পরদিন মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে তারা।
নিজস্ব প্রতিবেদক, সম্পাদনা: এম কে রায়হান