
ঢাকা: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তুরাগ নদীতে মাটি ভরাট ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিআইডাব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, গাজীপুর জেলা প্রশাসক, গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার, তুরাগ ও টঙ্গি থানার ওসিকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।
এ আদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে কিনা আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে তারও একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে ওই এলাকায় দখল এবং যারা যুক্ত রয়েছে তাদের নাম, ঠিকানা তালিকা করে গাজীপুর জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন্। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
তুরাগ নদী রক্ষায় প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে অপর রুলে নদী দখল ও ভরাট বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিতে এবং ভরাট অপসারণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
নৌসচিব ও রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ নয় বিবাদীদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, তুরাগকে মৃত্যু ঘোষণা সময়ের ব্যাপার’ শিরোনামে গত ৬ নভেম্বর ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ রিট আবেদন করে। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন।
প্রতিবেদক: ফজলুর রহমান সম্পাদনা: ইয়াসিন