
ঢাকা: রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় আন্দোলনরত পরিবহন শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে অভিযানে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযানে এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে সকাল থেকে শ্রমিক পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকাগুলি ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল থেকেই সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। বাস না পেয়ে অফিসগামী যাত্রীরা অটোরিকশা-রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে চড়লে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের নামিয়ে দিচ্ছেন। এ সময় শ্রমিকরা দূরে অবস্থান করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ছেন। সড়কে বাসানো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সিসিটিভি ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে ৭টি অ্যাম্বুলেন্সে আগুনসহ ২০-৩০টি যানবাহন ভাঙচুর করে পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় তারা পুলিশ বক্স ও রেকারেও আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক বলেন, আমি কথা বলার জন্য পরিবহন সংগঠনের কাউকে পাইনি। যারা আন্দোলন ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে তারা সবাই টোকাই, নাবালক। এরা শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মী হতে পারে না। তাই বোঝাই যাচ্ছে এরা সংগঠনের কেউ নয়।
শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণকে ভোগান্তিতে রেখে কোনো আন্দোলন হয় না। তাই বলছি, এই ধর্মঘট আপনারা দ্রুত প্রত্যাহার করুন। তা না হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যা যা করার দরকার আমরা তাই করব।
প্রসঙ্গত, মানিকগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামির হোসেন নামের এক পরিবহন শ্রমিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া সাভারের এক দুর্ঘটনার মামলায় মীর হোসেন মীরু নামে আরেক চালককে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন সিএমএম আদালত। এ কারণে প্রথমে খুলনা বিভাগে বাস ধর্মঘট শুরু হয়। মঙ্গলবার থেকে সারাদেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেন।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: প্রণব