
ব্যাংকক: সামরিক বাহিনীর প্রণীত একটি সংবিধানের উপর গণভোট দিচ্ছেন দেশটির নাগরিকেরা। বলা হচ্ছে গণভোটে সংবিধানটি পাস হলে দেশটিতে পুরোপুরি গণতন্ত্র ফিরে আসার পথ সুগম হবে। তবে বিরোধীরা বলছেন, গণভোট একেবারে অস্বচ্ছ হচ্ছে। কারণ ভালোভাবে ও উন্মুক্ত প্রচারণা করতে দেয়া হয়নি।
২০১৪ সালে দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর থাইল্যান্ডের ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সামরিক বাহিনী। গণভোটের উদ্দেশ্যে রেফারেন্ডাম অ্যাক্ট ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। যেখানে সত্যের বিপরীতে কোন ধরনের তথ্য বিকৃতি, ছবি বা বক্তব্যে পরিবর্তনকে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
মানবাধিকার গ্রুপগুলো বলছে, খসড়া সংবিধান সম্পর্কে মতপ্রকাশ ও এর তথ্য যাচাইয়ের সুযোগকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে গণভোট আইনে। রেফারেন্ডাম অ্যাক্ট বা গণভোট আইন লঙ্গনের দায়ে এরই মধ্যে ১৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। যাদেরকে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে।
রোববারের গণভোট হচ্ছে ২০১৪ সালের পর থাইল্যান্ডে প্রথম কোন ভোট। চারকোটি মানুষ খসড়া সংবিধান গ্রহণ করছেন কিনা তার উপর হ্যাঁ বা না ভোট দিতে পারছেন। এর মধ্য দিয়ে কতটুকু গণতন্ত্র ফিরে আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়। সূত্র: বিবিসি।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসআই