
চুয়াডাঙ্গা: জেলার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের ব্র্যাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির চার ছাত্রীর নামে ফেসবুক আইডি খুলে তাদের অশ্লীল ছবি ও আপত্তিকর স্ট্যাটাস পোস্ট করার অপরাধে মেহেদী হাসান জুম্মা (১৪) নামে এক কিশোরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমান দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এই জরিমানার ধার্য্য করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি সূত্র জানায়, দামুড়হুদা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের পার্শ্বে দামুড়হুদা ব্র্যাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ৪ ছাত্রী অন্যান্য দিনের মতো সোমবার সকালে স্কুলে আসছিল। এসময় দামুড়হুদা বাস ষ্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ মোল্লা ওরফে হামে মোল্লার বখাটে ছেলে মেহেদী হাসান জুম্মা অন্যান্য দিনের মতো তাদের বিভিন্ন অশ্লীল কথাবার্তা বলে উত্যক্ত করে। জুম্মার এসব কথা বার্তায় অপমানিত হয়ে ৪ ছাত্রী একসাথে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদুর রহমানের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগে জানায়, ‘হামে মোল্লার বখাটে ছেলে মেহেদী হাসান জুম্মা তাদের স্কুলে যাওয়া আসার পথে বিভিন্ন ভাবে টীজ করে। এছাড়া জুম্মা তাদের নামে ফেসবুকে ফেইক আইডি খুলে তাতে অশ্লীল ছবি ও আপত্তিকর স্টেটাস পোস্ট করে এবং বিভিন্ন জনের সাথে আপত্তিকর ভাষায় চ্যাটিং করে।’
৪ ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয় জুম্মাকে। আদালত জুম্মার মোবাইল ফোন ঘেঁটে ৪ ছাত্রীর নকল ফেসবুক আইডি ও সেগুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি আদান প্রদান, আপত্তিকর স্ট্যাটাস আপডেট ও অকথ্য ভাষায় চ্যাট করার প্রমাণ পান।
সংবাদ পেয়ে হামে মোল্লার স্ত্রী জুম্মার মা ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির হয়ে ছেলের হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সবদিক বিবেচনা করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় জুম্মাকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করেন।
এবিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, সমস্ত পারিপাশ্বিকতা বিবেচনা করে ১৪ বছর বয়সের মেহেদী হাসানকে সাইবার ক্রাইম বা অথ্য আইনে বিচার না করে তাকে ইভটিজিং আইনের দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় দোষী সাবস্থ্য করে ১০ হাজার টাকা জরিমানার করা হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/মআই/জাই/এসকেএস