
যে পোড়ায় সান্ত্বনা
আর কোনোদিন আসা হবে না এই ঘরে…
ভেবেছিলাম, জ্বলবে আলো সারা রাত
অথচ যে আলো জ্বলছে তা পৃথিবীর মধ্যবিন্দু ধারণ করে
তার রশ্মি পোড়াচ্ছে সান্ত্বনার আকাশপথ, নক্ষত্রলোক।
একদিন জং ধরে যাবে হাড়-মাংসে
তবুও বেঁচে আছি দীর্ঘ সময়…
একাকী।
শেষ রাতের ঘড়ি
ফোটা ফোটা বৃষ্টি। তখনো থামেনি।
নিরিবিলি ছুঁয়ে যাচ্ছে দেয়ালের ইট
জানালার কাচ, বারান্দার ভ্যাপসা গন্ধ…
তোমাকে সহজে করে নিয়েছে এই অযৌক্তিক মন,
হাত বাড়িয়ে ভবিষ্যৎ ফসলের ছায়ায়-
এভাবেই ভাবনার সাথে ধ্বনিত হলো
ছুটন্ত মেঘের গর্জন…
শেষ রাতের ঘড়িটা বেজে উঠে তখনি…
শ্রাবণরোদ
তার মুখে আজো লেগে আছে শ্রাবণের রোদ
ঝিরি বাতাসে মেঘের দৌড়…
মনে পড়ে, বর্ষার দৃশ্যমান হাসি
ভেজা রাস্তা, অনুতাপহীন বিকালের নম্রস্বভাব
রাজহাসের ভেসে চলা,
ইচ্ছে নেই, ছুটে আসা মেঘের গর্জন শুনি
নিজের ভিতর গুছিয়ে রাখি নিজের ভয়
অতপর কিছু আঁকা হতে থাকে…
নম্র আলো, তুমি ভালো থেকো
এ জীবন বড় বেশি কম সময়,
যার রহস্য জানে এক চিলতে শ্রাবণরোদ।
প্রকাশিত কবিতাগ্রন্থ : অনামিকা তুলেছি হেমন্ত আকাশে (ফেব্রুয়ারি ২০১৬, কবি প্রকাশনী, ঢাকা)
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/শিপন