
ঢাকা: জাল টাকাসহ গ্রেফতার আসামির বিরুদ্ধে সঠিক আইনে মামলা না করার কারণে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে কারণ দর্শানোর রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে হাটহাজারী থানার তখনকার ওসি ও চট্টগ্রাম জেলা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা (তদন্তকারী) শাহাদাত হোসেন খানকে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।
রুলে জাল টাকা ব্যবহার কারীদের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের অধীনে মামলা না করে তারা পুরনো ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে কেন মামলা করা হল তার কারণ ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এক আসামির জামিন শুনানির সময় হা্ইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামির জামিন নিয়ে রুল জারি করে এই আদেশ দেন। মঙ্গলবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান।
আদালতে আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান।
সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শহিদুল ইসলাম খান বলেন, ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট রাতে হাটহাজারী থানাধীন সরকারহাট বাজার থেকে মো: ইউনুছ আলী ওরফে ইলিয়াসকে ১০ হাজার জাল টাকাসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরের দিন হাটহাজারী থানায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে জেলা গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান মামলা দায়ের করেন।
আসামি ইউনুছ ওরফে ইলিয়াস বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/এমএস/এসআই