
খুলনা: সুন্দরবনের দুবলারচরে প্রতি বছরের মতো এবারো ১২-১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রাস পূর্ণিমার পুন্যস্নান। তিন দিনব্যাপী এ পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ আটটি পথ নির্ধারণ করেছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, এ আটটি পথে তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন থাকবে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনীর টহল দল।
অনুমোদিত আটটি পথ হলো, বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর। কদমতলা থেকে ইছামতি নদী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙাসিয়া-কাগাদোবেকি হয়ে দুবলার চর। কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদার গাং, খোপড়াখালী ভাড়ানী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙাসিয়া-কাগাদোবেকি হয়ে দুবলার চর। এছাড়া কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা ও বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী-চাঁদপাই স্টেশন হয়ে পশুর নদী দিয়ে দুবলারচর, বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর। শরণখোলা স্টেশন-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১২-১৪ নভেম্বর তিন দিনের জন্য তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের অনুমতি দেয়া হবে। তবে ঢোকার সময় এন্ট্রি পথে নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। যাত্রীরা নির্ধারিত রুটে পছন্দমতো একটি পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবে, এবং দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবে। বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রঙ দিয়ে বিএলসি-সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে ঢোকার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
সূত্র আরো জানায়, এছাড়া পরিবেশ দূষণ করে এমন বস্তু, মাইক বাজানো, বাজি বাজানো, বিস্ফোরক দ্রব্য, দেশীয় যেকোনো অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে যাত্রীদের বিরত থাকতে হবে।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: আবু তাহের