
ঢাকা: পেশাগত অসদাচরণ ও দুর্নীতির দায়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. রুহুল আমিন খোন্দকার এবং খুলনার সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মঈনুল হককে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয় ওই দুইজনকে চাকুরি থেকে বরখাস্তের সার-সংক্ষেপ রাষ্ট্রপতির চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠালে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দেন। এর পরেই তাদেরকে চাকরিচ্যুত করে সরকারি আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়।
সরকারি কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর বিধি ৩(এ)(বি) ও (ডি) মোতাবেক তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করে একই বিধিমালার ৪(৩)(ডি) অনুযায়ী চাকরি থেকে তাদের দুই জনকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানা গেছে।
সোমবার আইন মন্ত্রণালয় বরখাস্ত সংক্রান্ত পৃথক সরকারি আদেশ জারি করে। এর আগে গত ৬ অক্টোবর একই অভিযোগে জামালপুরের সাবেক অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. সিরাজুল ইসলামকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করে মন্ত্রনালয়। বরখাস্ত হওয়ার পূর্বেই তাদেরকে বিচারকাজ থেকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে রাখা হয়েছিল।
দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নিম্ন আদালতের চারজন বিচারককে চাকুরি থেকে বরখাস্তের অনুমোদন দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এদের মধ্যে বরখাস্তকৃত এই তিন বিচারক ছিলেন। তবে এখনো কুমিল্লার সাবেক নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) এস এম আমিনুল ইসলামের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
বিচারকদের নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি এবং অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি দেখভাল করে জিএ কমিটি।ওই কমিটির প্রধান হলেন- প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার(এসকে)সিনহা। বরখাস্ত হওয়া ওই চার বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট।
ওই নির্দেশ মোতাবেক সংশ্লিষ্ট চার বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত করে সেই প্রতিবেদন জিএ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জিএ কমিটি গত আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত ফুলকোর্ট সভায় চার বিচারককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত দেয়। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের ওই অনুমোদন আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
প্রতিবেদন: ফজলু হক, সম্পাদনা: ময়ূখ