
ডেস্ক: যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আগাম তথ্য আদান-প্রদান জোরদার করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশ। ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, বজ্রপাত ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে একমত হয়েছে দেশ দুটি।
শুক্রবার ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের আমন্ত্রণে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সাক্ষাৎকালে দুই দেশ বিষয়টিতে একমত হন।
ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহমেদ, ভারতের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব অশীল কুমার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিগত ঘূর্ণিঝড় রুয়ানো ও বন্যায় আগাম তথ্য পাওয়ায় বাংলাদেশ সুষ্ঠুভাবে এ দুটি দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পেরেছে। সঠিক সময়ে দুর্যোগের নির্ভুল তথ্যের উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, উভয় দেশ পাশাপাশি হওয়ায় একই দুর্যোগে প্রায়শ উভয় দেশই আক্রান্ত হয়।
তিনি বলেন, সময়মত নির্ভুল তথ্যের বিনিময়ে উভয় দেশ দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ এলাকার দেড়শ লোকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।
গঙ্গা বা তিস্তা ব্যারেজের পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে দু’দেশের সহযোগিতা আরো নিবিড় করতে উদ্যোগ নিতে মায়া চৌধুরী ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন। এর ফলে বাংলাদেশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা আরো সুসংহত হবে বলে মন্ত্রী ভারতকে অবহিত করেন।
ভারত-বাংলাদেশ একই ভূমিকম্প বেল্টে অবস্থিত উল্লেখ করে ভারতে সংগঠিত বিগত ভূমিকম্প তথা ১৯৮০ সালে সংগঠিত গুজরাট ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের সাথে বিনিময় ও ভূমিকম্পের উদ্ধার তৎপরতা বিষয়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের পদক্ষেপ নিতে মায়া চৌধুরী ভারতকে অনুরোধ করেন।
বাংলাদেশকে ভ্রাতৃপ্রতীম দেশ হিসেবে উল্লেখ করে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভারতের পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশেষত দুর্যোগের আগাম তথ্য বিনিময়ে ভারতকে আরো আন্তরিক হতে রাজনাথ সিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: জাহিদ