
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘ যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে এ দেশের মানুষ অস্ত্র তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিল, সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়ন করতেই কাজ করে যাচ্ছি ’
আজ বুধবার বিকেলে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিকেল ৪টায় জনসভাস্থলে এসে শেখ হাসিনা কক্সবাজারের ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফসহ কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন I
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন বলেই দেশের কাজ করে যেতে পারছি। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই কক্সবাজারের মানুষও ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আপনাদের ভোট বৃথা যায় নাই।জামায়াত-বিএনপি এদেশের মানুষকে কী দিয়েছে- প্রশ্ন রেখে শেখ হাসিনা বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস, খুন, মানি লন্ডারিং এগুলো দিয়েছে।তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমাদের শান্তি র্যালিতে দিনেদুপুরে গ্রেনেড হামলা করে তারেক-খালিদা জিয়া গং। যুদ্ধের ময়দানের গ্রেনেড আমাদের ওপর ছোড়া হয়েছিল। আইভী রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মী মারা যায়। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গিয়েছিলাম।

বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারা ছাড়া কিছুই করতে পারেনি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি। কক্সবাজারে কিছু হয়নি ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজারে অনেক প্রকল্প দিয়েছেন কক্সবাজারে রেল আসছে, বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে। গভীর সমুদ্রবন্দর হচ্ছে। মহেশখালী সিঙ্গাপুরের চেয়েও সুন্দর হবে। মহেশখালী-কুতুবদিয়ার আরও উন্নয়ন হবে। টেকনাফের সাবরাং অর্থনৈতিক জোন হচ্ছে।
বক্তব্যের ফাঁকে শেখ হাসিনা বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের প্রতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনিও একাধিকবার সৈকত ভ্রমণে আসার কথা তুলে ধরেন।
বিকেল ৪টায় জনসভাস্থলে এসে শেখ হাসিনা কক্সবাজারের ২৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং কয়েকটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এর আগের সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে প্রথমে তিনি যান উখিয়ার ইনানী সৈকতে। সেখানে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন শেষে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হেলিকপ্টারে করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
সেখান থেকে সড়কপথে বিকেল ৪টায় শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জনসভায় যান। জনসভা শেষে হেলিকপ্টার করে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী। পাঁচ বছর আগে এই স্টেডিয়ামে দলীয় জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি।