
মতিয়ার চৌধুরী, লন্ডন ;-
সমগ্র ব্রিটেনব্যাপী দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণে কঠিণ পরীক্ষার মুখোমুখি প্রধানমনস্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ সরকার। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে, বৃহস্প্রতিবার ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৫৪০জন মৃত্যু হয়েছে ৭৭জনের। এদিকে হাসপাতাল গুলোতে করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংখ্যাও গত তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। দেশের করোনা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারন করেছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক।
তিনি সমগ্র দেশের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন ব্রিটেনের করোনা পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে। তিনি বলেন সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে হাসপাতাল গুলোতে করোনা রোগী ভর্তির হার তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আমাদের জন্যে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে আজ থেকে স্কটল্যন্ডের রাজধানী এডিনবারা সহ বড় বড় শহর শহর গুলোতে রেষ্টুরেন্ট ও পাব সমূহ বন্ধের ঘোষনা দিয়েছেন স্কটিশ ফাষ্ট মিনিষ্টার নিকোলা ষ্টারজন। ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।
এছাড়া স্কটল্যান্ডের আরো কয়েকটি শহরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সেগুলো হল গøাসগো, ক্লাইড, ল্যানর্কশায়ার, ফোর্থভ্যালী, লোথিয়ান, আয়ারশ্য়াার এবং আরান হেল্থ বোর্ড এলাকা। স্কটিশ ফাষ্ট মিনিষ্টার নিকোলা ষ্টারজন বলেন এই উদ্যোগ নেয়া ছাড়া তার আর কোন উপায় ছিলনা। মাস শেষে সংক্রমণ আরো বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে দেশব্যাপী আবারও কঠোর লকডাউন দিতে উপদেষ্টাদের চাপের মুখে রয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ভারতীয় বংশদ্ভোত অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক সহ মন্ত্রী পরিষদের অধিকাংশ সদস্যই লকডাউনের বিরুধী ।
মন্ত্রীরা বলছেন যদি আবার নতুন করে লকডাউন আরোপ করা হয় দেশের অর্থনীতির অবস্থা আরো নাজুক হবে। অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন আবার দেশব্যাপী লকডাউন দিলে তিনি পদত্যাগ করবেন। শোনা যাচ্ছে তিন ধাপে বিধিনিষেধের ঘোষনা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
করোনায় সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় চারটি শহর ম্যানচেষ্টার, লিভারপুল, লিডস ও নিউক্যাসলের নেতারা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পত্রদিয়ে নতুন করে লকডাউন না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। ব্রিটেনে দ্বিতীয় দফা করোনায় এ্যাথনিক কমিউনিটির মানুষই আক্রন্ত হচ্ছেন বেশী। বিশেষ করে লন্ডনের বাংলাদেশী অধ্যুসিত এলাকাগুলোতে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারন করেছে।