
ঢাকা: বাড্ডায় গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রাফসান হোসেন রুবেল (২৬) আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়েছে। ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বাড্ডা থানার দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটিও। রোববার বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল নিউজনেক্সটবিডি কমকে এ তথ্য জানান।
ওসি জলিল বলেন, ‘রোববার গারো তরুণী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার রুবেলকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এমরান উল হাসান ও কনস্টেবল দীপক চন্দ্র পোদ্দার এসকর্ট করে আদালতে নিয়ে যায়। পরে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে আসামি রুবেল পালিয়ে যায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘ওই ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে এসআই এমরান উল হাসান ও কনস্টেবল দীপক চন্দ্র পোদ্দারকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।’
এর আগে বাড্ডায় গারো তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় শুক্রবার রাতে বিমান বন্দর রেল স্টেশন এলাকা থেকে রুবেলকে গ্রেফতার র্যাব-১।
পরদিন এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ জানান, শুধু গারো তরুণীকে ধর্ষণ নয়, রুবেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, ভয় ভীতি প্রদর্শন, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদকদ্রব্য ও সন্ত্রাসী ঘটনায় ৮ টি এবং রামপুরা থানায় ১ টি অস্ত্র মামলাসহ মোট ০৯ টি মামলা রয়েছে।
গারো তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা তুলে ধরে কর্নেল তুহিন বলেন, ‘ঘটনার দিন ওই গারো তরুণী তার হবু স্বামী রিপন ম্রং এর সঙ্গে দেখা করতে বাড্ডার একটি মেসে যায়। এ সময় মেসের ম্যানেজার হানিফ তরুণীকে দেখে মেসের বাসিন্দা নাজমুল, সালাউদ্দিন, জয়নালকে ডেকে বিষয়টি জানায়। মেসে মেয়ে নিয়ে আসায় তারা তরুণীর উপস্থিতিতেই রিপনকে বাসা ছেড়ে দিতে বলে। এরই মধ্যে সালাউদ্দিন স্থানীয় সন্ত্রাসী রুবেলকে ফোন করে ডেকে আনে। এরপর তারা ‘ফিটিং’ দিয়ে ওই তরুণী ও রিপনের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় রুবেলকে সহযোগিতা করে আলামিন ও সালাউদ্দিন।’
ঘটনার দুই দিন পর শুক্রবার ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী বাড্ডা থানায় নিজে বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে রুবেল, সালাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত আরো দুইজনকে আসামি করা হয়। টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকার ওই তরুণী উত্তর বাড্ডার একটি বিউটি পার্লারে চাকরি করেন।
প্রতিবেদন: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: জাহিদ