
লালমনিরহাট: ১২ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের পর চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে দেয়নি লম্পট ধর্ষকের লোকজন। চিকিৎসার অভাবে বাড়িতেই ধুকে ধুকে কাতরাচ্ছে প্রতিবন্ধী ওই শিশুটি।
এমন ঘটনা ঘটেছে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গন্ধম মরুয়া কাশিয়াবাড়ি গ্রামে। ধর্ষক সুরুজ্জামান চুনু ওই গ্রামের চাঁনদুল্লাহ মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে চাচার বাড়িতে রেখে কাজ করতে বগুড়া যায় তার মা-বাবা। মঙ্গলবার সকালে লম্পট সুরুজ্জামান চানু প্রতিবেশী ওই বাক প্রতিবন্ধী শিশুকে বাড়ির পাশ্বে একটি তামাক ক্ষেতে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ওই সময় ২ জন মহিলা ধর্ষণের বিষয়টা দেখতে পেয়ে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। শিশুটির অবস্থার অবনতি ঘটলে তার চাচা মঙ্গলবার দুপুরে চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ধর্ষক চানু’র লোকজন পথিমধ্যে ভয় দেখিয়ে ফিরিয়ে দেয়। যে কারণে তারা এখন পর্যন্ত আইনি ব্যবস্থাও নিতে পারেনি।
বিষয়টি লোকমুখে শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আদিতমারী থানার এস আই নারায়ন চন্দ্র। তিনি জানান, ধর্ষিতার পরিবারকে অভিযোগ দিতে বললেও তারা থানায় আসেননি।
ওই এলাকার ইউপি সদস্যা আছিয়া বেগম জানান, ঘটনাটি শুনে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো চেষ্টা করি কিন্তু ধর্ষক চানু’র লোকজন যেতে দেয়নি। পরে তিনি বিষয়টি মৌখিক ভাবে পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে শুনে চলে গেছে। শিশুটির মা-বাবা হরতালের কারণে বাড়িতে আসতে না পারায় কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি দাবি করেন, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল বিষয়টি ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।
আদিতমারী থানার ওসি হরেশ্বর রায় জানান, ঘটনাটি শুনেছি। ধর্ষিতা শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আসাদুজ্জামান সাজু (লালমনিরহাট), সম্পাদনা: জাহিদ