
সজিব ঘোষ, কুড়িগ্রামঃ ভাঙ্গা গড়ার মাঝেই এদের বাস। কোথাও ডুবছে তো কোথাও ভাসছে, এভাবেই চলছে জীবন। এই ভাঙ্গা গড়ার খেলায় এ অঞ্চলের মানুষ নীরব দর্শক। এই যন্ত্রণা বোঝার যেন কেউ নেই। এখানে নদী ভাঙ্গন মানেই রক্ত ক্ষরণ।
শনিবার জেলার বিভিন্ন বন্যা প্লাবিত অঞ্চলের অবস্থা ঘুড়ে দেখার সময় নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা করেন রাজীবপুর থানার কোদাল ঘাঁটি ইউনিয়নের চর মাধবপুর এলাকাবাসী। ছবি তুলেছেনঃ জীবন আহাম্মেদ।
জীবনকে সামনে থেকে ৬০ বছর দেখেছেন কাশেম মিয়া। পেশা যখন যা, তখন তাই। নিজের জমি বলতে কিছুই নেই। গেল বছর বানের জলে গিলে খেয়েছে সব। এখন শুধু হতাশাই তার সঙ্গি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে নদী ভাঙ্গন মানে নিজের রক্ত ক্ষরণ। গেল বছর যা ছিল সব ভেসে গেছে নদীতে। নতুন করে যে ঘরটা বেঁধেছিলাম, এবার তার অর্ধেক নেই। প্রতি বছর বানের পানিতে তলিয়ে যায় সব কিছু।’
হালিমা বেগম এখানে থাকলেও তার স্বামী কাজ করেন ফরিদপুরে। তিনি জানান, এই অঞ্চলে কাজ কর্ম তেমন নাই, তাই সবাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুরের মতো শহরগুলোতে কাজ করতে যান।
ছোট শিশুদের পড়াশোনার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খাওয়ারই ঠিক নাই আবার পড়া। তবে নৌকার ওপর স্কুল আছে একটা। স্থানীয় যে একটা স্কুল রয়েছে তাও এখন পানির নিচে ।’
এই অঞ্চলের জীবনের গতি নির্ভর করে নদীর স্রোতের ওপর। নদী যেদিকে জীবনও সেদিকেই। নদীর কল্যাণেই বাঁচা মরা, নদীতেই সব।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসজি/পিএসএস