
ডেস্ক: ১৫ মে ফিলিস্তিনিদের কাছে নাকবা দিবস বা বিপর্যয়ের দিন হিসেবে পরিচিত। এই দিনের একদিন আগেই অর্থাৎ গত সোমবার গাজা-ইসরায়েলি সীমান্তে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলিবর্ষণ করে ৫৮ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
মঙ্গলবার শোকাচ্ছন্ন ফিলিস্তিনিরা নাকবা বা বিপর্যয় দিবসের ৭০তম বার্ষিকী পালন করেছেন। এদিন ইসরায়েলিদের গুলিতে নিহত স্বজনদের দাফন এবং জানাজার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তারা।
নাকবা দিবস পালনের একদিন আগেই আরো একটি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন ফিলিস্তিনিবাসীরা। ওইদিন ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে দখলকৃত জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করা হয়। নতুন দূতাবাসের উদ্বোধনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গাজা সীমান্তে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। নিরীহ এসব প্রতিবাদকারীদের লক্ষ্য করে গুলি করে ইসরায়েলি সেনারা। ফলে ৫৮ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারান এবং শত শত বিক্ষোভকারী আহত হন।
২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর গত সোমবার ফিলিস্তিনিদের জন্য ছিল সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন। একদিনে এতজন ফিলিস্তিনির মৃত্যুর ঘটনা বিগত কয়েক বছরে আর ঘটেনি। স্বাভাবিকভাবেই ফিলিস্তিনিরা এদিনকে গণহত্যা দিবস বলে অভিহিত করেছেন।
৭০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কারণে বহু ফিলিস্তিনি পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ধারণা করা হয়, ১৯৪৮ সালের যুদ্ধের ফলে ৭ লাখের মত ফিলিস্তিনিকে নিজেদের ভূমি থেকে বহিষ্কার করা হয় কিংবা তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। এরপর থেকে প্রতিবছর ১৫ মে ফিলিস্তিনিরা নাকবা বা বিপর্যয়ের দিন হিসেবে পালন করে আসছেন। সূত্র: আল জাজিরা
গ্রন্থনা: ফারহানা করিম