
পঞ্চগড়: জেলার সদর উপজেলার কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের এক নাবালিকা ছাত্রীকে (১৬) বিয়ে করায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। মানববন্ধনে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহজাহান আলীর অনৈতিক কার্যকলাপ ও বাল্য বিবাহের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
একই সাথে ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে হুমকি দেয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোমকিন আলম মুকুল ও সহকারী শিক্ষক মামুনের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পরে মানববন্ধনকারীরা পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারক লিপিতে তারা জানান, পঞ্চগড় সদর উপজেলার লাঠুয়াপাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়ার মেয়ে সারমিন আক্তার কাজীপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। দীর্ঘদিন থেকেই ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহজাহান আলী তাকে বিভিন্ন ভাবে উত্তক্ত করে আসছিল। ১৫ জানুয়ারি এসএসসি পরীক্ষার সাজেশন দেয়ার কথা বলে শাহজাহান আলী সারমিন আক্তারকে পঞ্চগড়ে নিয়ে আসে। পরে ছবি ও স্ট্যাম্পে সারমিনের স্বাক্ষর নিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। সম্প্রতি ওই শিক্ষক সারমিনের সাথে তার বিয়ে হয়েছে বলে প্রচার করতে থাকে। এমনকি বিয়ের কাগজপত্রও দেখায়।
ওই কাগজে সারমিনের বয়স দেখানো হয়েছে ১৯ বছর। অথচ তার জন্ম সনদে বয়স চলছে ১৬ বছর। ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে বিয়ের ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় গ্রহণ করতে চাইলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোমকিন আলম মুকুল ও সহকারী শিক্ষক মামুন সারমিনের পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করতে থাকে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিবেদন: মো. লুত্ফর রহমান