
মানিকগঞ্জ: মানব পাচার মামলায় আবু সাবাহ ফেরদৌস হোসেন বাবুকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। মঙ্গলবার বাবু আদালতে আত্মসমাপর্ন করলে মানব পাচার প্রতিরোধ ও অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে জেলা জজ হাসিনা রওশন জাহান তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। বাবু মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার আনসার আলীর পুত্র।
এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন বাবুর স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা (৩৮), পৌলী গ্রামের মৃত: ফাইজুদ্দিনের পুত্র ফালাক (৩০) ও একই গ্রামের ফজলুল হকের পুত্র পিন্টু (২৫)।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৩ জানুয়ারি মামলার বাদী সোনালী আক্তার ও তার স্বামী মো: রুবেল দেওয়ানকে ভাল বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা নিয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের পতিতা পল্লীতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।
এর পর বাদী ও তার স্বামী ঐ পতিতা পল্লী থেকে পালিয়ে গেলেও ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে অবৈধভাবে ভারত প্রবেশের অপরাধে ৪ মাস কারা ভোগ করে।
জামিনে দেশে ফিরে বাদী ও তার স্বামী বাবুর কাছে তাদের টাকা ফেরত চাইলে বাবু তাদের বিভিন্ন মামলায় ফাসিয়ে পুলিশি হয়ারনীর ভয় দেখায়।
এরপর গত বছরের ৩০ মার্চ সোনালী আক্তার বাদী হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে বাবুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে আদালত তা আমলে নেয়।
বাবুর বিরুদ্ধে নারী পাচার ছাড়াও চাঁদাবাজী, নিজ বাড়িতে অবৈধ পতিতা পল্লী, নারী নির্যাতন ও ভুয়া তালাক নামা তৈরির মামলা রয়েছে। তার শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন দীর্ঘ দিন বিক্ষোভ করেছে।
শাহজাহান বিশ্বাস, মানিকগঞ্জ, সম্পাদনা: জাহিদ