
এডিনবরা: মুসলিম নারীদের পুলিশ বাহিনীতে যোগদানে উৎসাহিত করার জন্য ইউনিফর্মের সঙ্গে হিজাব প্রচলনের পরিকল্পনা করছে স্কটল্যান্ডের পুলিশ। মুখ ছাড়া মাথা এবং গলা ঢাকা যায় এমন একটি হিজাবের ডিজাইন নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে পুলিশ স্কটল্যান্ড।
অবশ্য স্কটিশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত কোন মুসলিম নারী যদি ধর্মীয় কারণে হিজাব পরতে চান, তাহলে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছ থেকে এই বিষয়ে অনুমোদন নিতে হবে। স্কটল্যান্ড পুলিশ তাদের বাহিনীতে যোগদান করার জন্য কৃষ্ণাঙ্গ, এশিয়ার বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের উৎসাহিত করছে।
তাদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ সালে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাত্র ১২৫ জন আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। যা মোট আবেদনপত্রের শতকরা ২.৬ ভাগ। স্কটিশ সমাজে সংখ্যালঘুদের সংখ্যার হিসেবে আরও অতিরিক্ত ৬৫০ জনকে স্কটিশ পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগ দিতে হবে। ফলে পুলিশ বাহিনীতে ইউনিফর্মের সঙ্গে ঐচ্ছিক হিজাব পরার অনুমতি দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্কটল্যান্ড পুলিশের ব্যবস্থাপনা প্রধান পিটার ব্লেয়ার বলেন, ‘স্কটিশ পুলিশ সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। পুলিশ বাহিনীতে কাজ করাকে যেন মানুষ পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারে, সেজন্য সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের অনেক দেশেই অনেক মুসলিম নারী পুলিশ অফিসার হিজাব পরে থাকেন। স্কটিশ পুলিশ বাহিনীও এই সুন্দর প্রথা অনুসরণ করতে পারে।’
পুলিশের প্রধান পরিদর্শক অ্যান বেল জানান, চলতি বছর স্কটল্যান্ডে নারীদের পুলিশে যোগদানের ১০১ বছর পূর্ণ হবে। এই সময়ে তাই পুলিশ বাহিনীতে আরও বেশি নারীকে যোগদানে উৎসাহিত করা হচ্ছে। লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ ১০ বছর আগে থেকেই মুসলিম নারী অফিসারদের ইউনিফর্মের পাশাপাশি হিজাব পরার অনুমতি দিয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি, বিবিসি
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে/এসআই