
একজন নারী হিসেবে জন্মেছি তাই বরাবরই গর্ববোধ করি, আরো বেশি গর্ব হয় এটা ভেবে যে আমাদের নারীদের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি দিবস রয়েছে। যেদিন সব নারীদের একটু আলাদাভাবে মর্যাদা দেয়া হয়। নারীদের ওপর অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, অনেক লেখালেখি হয়, অনেক শুভেচ্ছা জানানো হয়।
তবে আসলেই নারীরা সারা বছর কতটুকু সম্মান পায়; এই একটি দিনের ভালোবাসা একটু করেও যদি সারা বছর নারীরা পায় তাহলেও অনেক কিছু। ২০১৭ সাল এখন। সামাজিকভাবে মেয়েরা সব দিক থেকে অনেক এগিয়ে। নারীদের যোগ্যতার পাশাপাশি তাদের প্রতি পুরুষদের সহানুভূতিশীল মনোভাব এবং সমর্থন বড় ভূমিকা রাখছে।
তবে তার বিপরীত দৃশ্যও আসলে দেখা যায় প্রতিনিয়ত। এখনো নারীরা কতটা অবহেলিত, নির্যাতিত আর প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হয় তার খবর আমরা কিছুদিন পরপরই পাই। তাই নারীদের নিজেদের অধিকার এবং সম্মান এর ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে, সঙ্গে পুরুষদের ইতিবাচক মানসিকতা প্রয়োজন। নারী পুরুষ বৈষম্য কখনই কাম্য নয়।
সমাজে নিজের একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে হবে। আর এক্ষেত্রে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। কারণ আমরা সবসময় জেনে এসেছি ‘একজন শিক্ষিত মা পারে একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে’।
একজন চলচ্চিত্র শিল্পী হিসেবে আমার খুব ভালো লাগে যখন দেখি আমরা মেয়েরা এখানে সুস্থ পরিবেশে নিরাপদভাবে সম্মানের সাথে কাজ করতে পারছি, তখন নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনে হয়।
কিন্তু কিছু কিছু মেয়েরা যে কোন কর্মক্ষেত্রে হয়তো এমন পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পেরে আশাহত হয়ে পড়ছে। তাই তাদের কে আরো সচেতন হতে হবে। নিজের সম্মান নিজেকে আদায় করতে হবে।
সর্বোপরি সব নারীদের প্রতি অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। নারী দিবসের এই ভালোবাসার আমেজ যেনো সারা বছরই থাকে এটাই চাওয়া।
লেখক: শবনম বুবলী
চলচ্চিত্র শিল্পী