
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: জেলার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় আরো নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ নিয়ে তিন দিনে আটককৃতদের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৩ জনে। শনিবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাফর আহমেদ জানান, অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের থানায় রাখা হয়েছে।
এদিকে, নাসিরনগরে আর কোনো অঘটন ঘটেনি। উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটায়িন (র্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি)আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ৫০০ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তবে এমন নিরাপত্তার মধ্যে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেবের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তবে শনিবার সন্ধ্যায় কে এই অগ্নিসংযোগ করেছে তা কেউ দেখেনি।
এই পরিস্থিতি নিয়ে রোববার দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক স্থানীয় ডাকবাংলোতে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। এছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পরিদর্শন করবেন।
প্রসঙ্গত, ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদের নামে গত ৩০ অক্টোবর নাসিরনগরের ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।ওই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতি ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই এলাকার একাধিক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য অভিযোগ করেন, নাসিরনগরের ইউএনও মোয়াজ্জেম ও ওসি আবদুল কাদেরের উপস্থিতিতে একটি সমাবেশে ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্যের পরই ওই হামলা চালানো হয়।
ঘটনার পর সহস্রাধিক লোককে আসামি করে দুটি মামলা হয়। গঠন করা হয় তিনটি তদন্ত কমিটি। মন্দিরসহ বাড়িঘরে হামলার পাঁচ দিনের মাথায় পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই শুক্রবার ভোরে উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়া এলাকায় সংখ্যালঘুদের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
গ্রন্থনা: ময়ূখ ইসলাম, সম্পাদনা: মাহতাব শফি