
ঢাকা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দুপল্লীতে ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক শেখ মো. আবদুল আহাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর। তিনি বলেন, ‘নাসিরনগরে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আহাদকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২৮ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নে এক যুবক পবিত্র কাবাঘরের ছবি সম্পাদনা করে ফেসবুকে পোস্ট করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর স্থানীয়রা তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে পরদিন নাসিরনগর সদর উত্তাল হয়ে পড়ে।
৩০ অক্টোবর ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদের নামে উপজেলা সদরের কলেজ মোড়ে সমাবেশ ডাকা হয়। ওই সমাবেশের পরই নাসিরনগরের ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরে চার নভেম্বর আবার নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দুদের কয়েকটি বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। ফলে দু’টি মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় তিনটি মামলা করা হয়। মামলা তিনটির তদন্ত করছেন চার তদন্ত কর্মকর্তা। মন্দিরে হামলা ও ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে করা প্রথম দুইটি মামলার তদন্ত করছেন এসআই সাধন কান্তি ও এসআই ওয়াহাব। আর ঘর-বাড়ি পোড়ানোর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা হলেন এসআই মহিউদ্দিন সুমন ও এসআই কাউসার।
গ্রন্থনা: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ