
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নাসিরনগরে হিন্দু পল্লীতে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে তিনটি পদ্ধতি অবলম্বন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। হামলার ফুটেজ দেখে, পুলিশ সোর্স এবং গ্রেফতারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।
রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৬ জনে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিম নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে বলেন, “নাসির নগরে কোন গ্রেফতার আতঙ্ক নেই। যারা গ্রেফতার হয়েছেন, তাদের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার ফুটেজ দেখে, সোর্স এবং গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই জড়িতদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।”
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দুদের কয়েকটি বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এর ফলে দু’টি মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর আগে ৩০ অক্টোবর ইসলাম অবমাননার প্রতিবাদের নামে একই এলাকার ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের দেড় শতাধিক ঘরবাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
ওই ঘটনায় নাসিরনগর থানায় তিনটি মামলা করা হয়। মামলা তিনটির তদন্ত করছেন চার জন তদন্ত কর্মকর্তা। মন্দিরে হামলা ও ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে করা প্রথম দুইটি মামলার তদন্ত করছেন এসঅাই সাধন কান্তি ও এসআই ওয়াহাব। আর ঘর-বাড়ি পোড়ানোর মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা হলেন এসআই মহিউদ্দিন সুমন ও এসআই কাউসার। নাসির নগরের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় ৫০০ পুলিশ সদস্য সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন।
নাসিরনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু জাফর জানান, রোববার মধ্যরাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত নাসিরনগর উপজেলায় হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ২১ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পুলিশের এ গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রতিবেদন: তুহিন সাইফুল, প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: প্রণব