
ঢাকা: অধরা খান একজন চলচিত্র অভিনেত্রী। নির্মাতা শাহিন সুমনের ‘পাগলের মত ভালোবাসি’ ছবিটি দিয়েই বড় পর্দায় পা রাখেন এ নায়িকা। ছোটবেলা থেকে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন না থাকলেও নাচের প্রতি একটা ঝোঁক ছিলো অধরার। নাচ করতে গিয়ে নাচের টিচারের প্রশংসায় ও সহযোগিতায় অভিনয়ের ইচ্ছে জাগে। তারপরই নির্মাতা শাহিন সুমনের ‘পাগলের মত ভালবাসি’ চলচ্চিত্র দিয়েই জীবনের প্রথম কাজ শুরু করেন অধরা। পরিচালকও তার কাজে সন্তুষ্ট। চলচ্চিত্রের এই শুরুটাসহ আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেন নিউজনেক্সট বিডি ডটকম’র সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন-নাহিদ ন্যাস।
অভিনয়ে আসলেন কিভাবে?
ছোট বেলায় আমি যখন ক্লাস এইটে পড়ি তখন থেকে প্রচুর মুভি দেখতাম। ভাবতাম বড় হলে কিছু একটা হবো কিন্তু এটা ভাবিনি আমি নায়িকা হবো। এমন কিছু হবো যাতে মানুষ আমাকে চিনে। এরপর আমি যখন ভার্সিটিতে ভর্তি হই সবাইকে দেখি চারপাশে অনেকেই মডেলিং করছে অভিনয় করছে তখন কিছু একটা করতে ইচ্ছে হলো। নাচ শিখতে যাই। নাচের টিচার একদিন বললো তুমি নাচের পাশাপাশি অভিনয়ও কর। চেষ্টা করো, এখন আগের চেয়ে আরও ভালো মুভি হচ্ছে, করো, ভালো করবা। তখন ফটোশুট করলাম। চেষ্টা করতে থাকলাম। আমার এক বন্ধুর মাধ্যমে শাহিন ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয়। ভাইয়া আমার সঙ্গে কথা বলে হঠাৎ একদিন ঘোষণা দিলো আমাকে নিয়ে মুভি করবে। এই শুরু।
বড় পর্দায় এটি প্রথম কাজ?
বড় পর্দায় ছোট পর্দায় সব ক্ষেত্রে এটি আমার প্রথম। এর আগে আমি কোন বিজ্ঞাপন, নাটক কিছুই করিনি।
এ জন্য পরিবারের কার সাপোর্ট সবচেয়ে বেশি পান?
হুম! আসলে পরিবার থেকে সাপোর্ট পাই আবার পাই না। অভিনয় করা খুব একটা পছন্দ করেন না। তারপরও মোটামুটি সাপোর্ট এবং নিজের চেষ্টায় ভালো কিছু করার চেষ্টা করছি।
পরিবারের কেউ কি অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলো বা আছে?
না। আমার পরিবারে কেউই এ জগতে নেই। এখানেও আমি প্রথম।
অভিনয় করতে গিয়ে প্রথম ক্যামেরার সামনে যখন দাঁড়ান কেমন লেগেছিলো? নার্ভাস ছিলেন?
না, মোটেও না! আমার এখন পর্যন্ত একবারের জন্যও মনে হয়নি আমি একটা মুভিতে অভিনয় করছি। এখানে পুরো টিম যারা এই ছবির সঙ্গে জড়িত সবাই অনেক ফ্রেন্ডলি। আমি একটা পরিবারের সঙ্গে কাজ করছি তাই হয়তো টেরই পাইনি।
এ ছবিতে অভিনয় করতে গিয়ে মজার কোন ঘটনা কি ঘটেছে?
মজার ঘটনা তো প্রতিনিয়ত ঘটছে। কাজের ফাঁকে সবাই সবার সঙ্গে খুব মজা করেছি। আর তাই কাজটাও খুব ভালো হয়েছে।আর বলার মত মজার ঘটনা আসলে এত বেশি মজা করেছি আলাদা করে বলতে ইচ্ছে করছে না।
একজন নবাগত শিল্পী হয়ে ডিরেক্টর হিসেবে শাহিন সুমনকে কেমন মনে হয়েছে?
প্রথমত আমার প্রথম কাজের ডিরেক্টর উনি। তার হাত ধরেই চলচ্চিত্রে আসা। যেহেতু আমি অন্য কোন ডিরেক্টরের সঙ্গে এখনো কাজ করিনি তাই আর কারো কথা বলতে পারবো না। আমি এতোটা অভিজ্ঞ না কিন্তু এতটুকু বলবো, ডিরেক্টর হিসেবে শাহিন ভাই অসাধারণ। উনি বেস্ট। না হলে অনেকের চেয়ে কম বাজেটে দেশের মধ্যে ভালো লোকেশনে এতো ভালো কাজ অনেক কষ্টসাধ্য।
অভিনয় জগতে কাউকে ভালো লাগে?
হ্যাঁ! আমি যখন থেকে মুভি দেখতাম তখন থেকে আলমগীর ভাই’কে ভাল লাগতো। ওনার অভিনয় আমার অনেক ভাল লাগে।এছাড়া রাজ্জাক স্যারসহ অনেকে আছে যাদের ভালো লাগে।
পছন্দের চলচ্চিত্র কোনটি?
পোকামাকড়ের ঘরবসতি ও ভাত দে। এ মুভি দুটি আমার অনেক ভালো লেগেছে।
স্বপ্নের নায়ক কে?
স্বপ্নের নায়ক ঐ যে বললাম আলমগীর। আমি মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখতাম ওনার সহশিল্পী হবো।
চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসে সামনে নায়ক হিসেবে পছন্দের কারো সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে কি আছে?
আসলে আমি কাউকেই আলাদা করে বলবো না। তবে আমার প্রথম ছবির অভিনেতা দুইজন আসিফ নূর ও সুমিত এ দুইজনের সঙ্গে সব সময় কাজ করার ইচ্ছে আছে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
তেমন কিছু ভাবিনি এখনো। তবে চেষ্টা করবো সব সময় ভালো কিছু উপহার দিতে। ভালো কাজ করে যেতে।
ব্যাক্তিগত প্রশ্ন! বয় ফ্রেন্ড আছে বা বিয়ের ব্যাপারে এখনই কোন চিন্তা করছেন কিনা?
হাহাহাহাহহা! বিয়ে নিয়ে এখনি কিছু ভাবছি না। আরও দিন যাক। পড়াশুনা শেষ করি এরপর চিন্তা করবো। আর ছেলে বন্ধু অনেক আছে।হাহাহাহহাহহাহা!
আপনার প্রথম ছবি নিয়ে দর্শক এবং আপনার ফেসবুক ফলোয়ারদের উদ্দ্যেশে কিছু বলবেন?
হ্যাঁ! আমি সবার উদ্দ্যেশে বলবো সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সামনে আপনাদের জন্য আরও ভালো কাজ উপহার দিতে পারি। আর আমার ফেসবুক ফলোয়ারদের বলবো বেশি বেশি আমাকে ফলো করো। আমার করা প্রথম ছবি ‘পাগলের মত ভালোবাসি’ সবাই দেখবেন। আসা করি ভালো লাগবে। সে সাথে নিউজনেক্সট বিডি ডটকম’কে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার কথা এবং ছবিটির সম্পর্কে সবাইকে জানানোর জন্য।
সম্পাদনা: প্রণব