
ঢাকা: পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই জেএমবি সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা ও বগুড়ার শিয়া মসজিদে হামলায় সরাসরি অংশ নিয়েছিলো বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের (সিটি) প্রধান ও ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তথ্য জানান।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর পল্লবী এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার ও জঙ্গি বিরোধী অভিযানকালে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যদের গুলিতে মারা যান জেএমবি সদস্য তারেক হোসেন মিলু এবং সুলতান মাহমুদ ওরফে রানা ওরফে কামাল।
মনিরুল ইসলাম জানান, জেএমবি সদস্য তারেক হোসেন মিলু ওরফে ইসমাইল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রেজাউল করিমকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন। ওই ঘটনার পরিকল্পনার নেতৃত্বেও ছিলেন তিনি। তার বাড়ি জয়পুরহাটে।
সিটি প্রধান বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত আরেকজন সুলতান মাহমুদ ওরফে রানা ওরফে কামাল বগুড়া শিয়া মসজিদে গুলি চালিয়ে মুয়াজ্জিনকে হত্যা করেছিলেন। তার বাড়ি দিনাজপুরে।’
বন্দুকযুদ্ধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জেএমবির সদস্যরা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি যে তাদের একটি ছোট গ্রুপ আবারও রাজধানীতে একত্রিত হয়েছে।
পরে সিটি ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা কালশী এলাকায় অভিযান চালালে জঙ্গিরা গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ২ জঙ্গিকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেকে মৃত ঘোষণা করেন।’
অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তল, ৩টি বুলেট ও ৩ টি বোমা উদ্ধার করা হয়। নিহতরা উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় সিরিজ বোমা হামলার সাথে জড়িত ছিল বলেও মনিরুল ইসলাম জানান।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/এমএস/এসআই