
ঢাকা: আওয়ামী লীগে নেতা বাড়লেও প্রশিক্ষিত নেতার সংখ্যা কম রয়েছেন বলে মনে করেন দলটির জাতীয় সম্মেলনে অংশ নেয়া কাউন্সিলররা। তাদের দাবি, দলের জন্য যোগ্য ও দক্ষ নেতা বের করে আনতে হবে।
রোববার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে বিভিন্ন জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা বক্তব্য দেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগে নেতা বেড়েছে। তবে প্রশিক্ষিত নেতার সংখ্যা কম। এ জন্য একটি প্রশিক্ষণ শিবির চালু করা দরকার।’
গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমতুল্লাহ খান বলেন, ‘আমাদের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একে অপরকে সাইজ করার একটি রাজনীতি আছে। দলকে ও দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই রাজনীতি বন্ধ করে যোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্ব বের করে আনতে হবে।’
ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ কোরেশী বলেন, ‘আপনার বিশ্বস্ত, যার কাছে দল নিরাপদ থাকবে তার হাতেই নেতৃত্ব তুলে দেবেন বলে আমরা আশা করছি।’
পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাৎ সম্রাট তার বক্তব্যে বলেন, ‘এমন একটি কমিটি উপহার দেবেন যাতে আমাদের আস্থা বজায় থাকে। আমরা কোনও মীরজাফরকে দলে দেখতে চাই না।’
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ফারুক বলেন, ‘আপনি বিজয়ের যে দিগন্ত উন্মোচন করেছেন পাশে থেকে সজীব ওয়াজেদ জয়কেও আপনার পেছনের কাতারে জায়গা করে দেবেন।’
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী এই সম্মেলনের শেষ দিনে ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট এ কমিটি গঠনের অধিবেশন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়। অধিবেশনের পুরো সময় সেখানে অবস্থান করবেন প্রধানমন্ত্রী।
ছয় হাজার ৭৫০ কাউন্সিলর নিয়ে বৈঠক হবে। কউন্সিলরদের বৈঠক শেষে হবে ভোট গ্রহণ এবং নেতৃত্ব নির্বাচন। এ জন্য গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যদের নির্বাচন কমিশন। যার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ড. মসিউর রহমান ও রাশেদ উল আলম।
আওয়ামী লীগের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনকে ঘিরে রাজধানীতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। নগরের বিভিন্ন জায়গায় রং-বেরঙের ব্যানার ও ফেস্টুনে সাজানো হয়েছে। সম্মেলন উপলক্ষে নগর জুড়ে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
গ্রন্থনা: ময়ূখ ইসলাম, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ